তারাপীঠ মন্দির কি বন্ধ থাকবে! কি ভাবছে মন্দির কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রন ইতিমধ্যেই থাবা বসিয়েছে বাংলায়। নতুন এই স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যার পাশাপাশি অন্যান্য স্ট্রেনে প্রতিনিয়ত আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে রাজ্যে। এমত অবস্থায় রবিবার রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একাধিক বিধি-নিষেধ জারি করা হয়। এরপরই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি বন্ধ হয়ে যাবে তারাপীঠ মন্দির!

তারাপীঠ মন্দির বন্ধ থাকবে না খোলা এই নিয়ে রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায়। যেখানে তিনি জানান, মন্দির বন্ধ অথবা খোলা রাখা নিয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়নি। কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা হয়তো আগামী দু-একদিনের মধ্যেই জানা যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এই বিষয়ে তিনি জানান, “টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি রাজ্য সরকার নতুন করে কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে। এই মাত্র আমরা খবর পেয়েছি, যে কারণে আমরা দু-একদিনের মধ্যে বসে সিদ্ধান্ত নেব কি করা হবে। অনেক ভক্ত বাইরে থেকে এসেছেন যারা দু-একদিনের মধ্যে পুজো দেবেন। এই পরিস্থিতিতে আমরাও চিন্তাভাবনা করেছি দু-একদিনের মধ্যেই কিছু একটা সিদ্ধান্ত নেব।”

এর পাশাপাশি তিনি আরও জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে মন্দিরে আগত প্রতিটি ভক্তকে সমস্ত রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসন ছাড়াও মন্দির কমিটির নিরাপত্তারক্ষীরা এই বিষয়ে নজর দিচ্ছেন। এমন কি কেউ গর্ভ গিয়ে ঢুকে মাস্ক খুলে দেওয়ার মতো প্রচেষ্টা চালালেও তা রুখে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি যেন সবসময় স্যানিটাইজার ব্যবহার করা হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।

করোনা সংক্রমণ যখন প্রথম ছড়িয়ে পড়ে সেই সময় এই তারাপীঠ মন্দির কমিটির সদস্যরা প্রথম মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় তারা মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে যখন রাজ্য এবং জেলাজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই সময় স্বাভাবিকভাবেই তারাপীঠ মন্দির কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে প্রত্যেকের মধ্যে।

এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, রবিবার রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর করোনা সংক্রান্ত যে রিপোর্ট পেশ করেছে তাতেই লক্ষ্য করা গিয়েছে এই মুহূর্তে রাজ্যে একদিনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬১৫৩। একইভাবে জেলায় এক দিনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৪০। এক ধাক্কায় এই এত সংখ্যক আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার স্বাভাবিকভাবেই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সব মহলের কাছে।