Advertisements

Tata Solar Project in Dooars: ডুয়ার্সকে নিয়ে বড় পরিকল্পনা টাটাদের! উপকৃত হবেন হাজার হাজার মানুষ

Prosun Kanti Das

Published on:

Tata Group is going to build Solar Project at Dooars: উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি সৌন্দর্য পছন্দ করেন এমন মানুষদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় একটি জায়গা হল ডুয়ার্স। প্রকৃতি এখানে অপার সৌন্দর্যের ডালি সাজিয়ে অপেক্ষা করে পর্যটকদের জন্য। সারা বছরই এখানে পর্যটকদের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। ডুয়ার্স এর যে সব আকর্ষণীয় স্থান গুলি পর্যটকরা সব থেকে বেশি পছন্দ করেন তার মধ্যে অন্যতম হলো চা বাগান, জঙ্গল সাফারি ইত্যাদি। ডুয়ার্সে কর্মরত চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য এবার বিশেষ খুশির খবর আনতে চলেছে টাটা গোষ্ঠী (Tata Solar Project in Dooars)।

Advertisements

দীর্ঘদিন ধরেই ডুয়ার্স এ চা বাগান গুলিতে বিদ্যুতের খরচ কমানোর জন্য দীর্ঘ আলোচনা চলছে। উত্তরবঙ্গের বৃহত্তম চা বাগান হলো চাংমারি। এখান থেকেই শুরু হয়েছে বিদ্যুতের খরচ কমানোর চেষ্টা। এই চা বাগানে বিদ্যুতের খরচ কমাতে গেলে প্রয়োজন হয় সৌরশক্তি। আর সৌরশক্তি উৎপন্ন করার কাজের জন্য ব্যবহার করতে হয় সোলার প্যানেল। তাই এই চা বাগানে বিদ্যুতের সুবিধার জন্য এবার বসানো হচ্ছে সোলার প্যানেল। এই সোলার প্যানেলে সৌর বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়ে কারখানার কাজ গুলি যেমন সম্পন্ন হবে, পাশাপাশি শ্রমিকদের কোয়ার্টারে পৌঁছে যাবে বৈদ্যুতিক আলো।

Advertisements

ইতিমধ্যেই চাংমারি চা বাগানের কারখানা থেকে অনতিদূরে ১ হেক্টর জমিতে মোট ৪৯০ টি সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে। এই প্যানেলের মাধ্যমে দৈনিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করার ক্ষমতা ১০৪০ কিলোওয়াট। বর্তমানে চাংমারি কারখানাটি সাময়িক ভাবে বন্ধ থাকলেও ১৫ টি পাম্পের সাহায্যে ওই সৌরশক্তির মাধ্যমে পুরো বাগানে জলসেচ এর কাজ করা হচ্ছে। ৪.২৫ কোটি টাকা ব্যয় করে এই প্রকল্পটি সম্পূর্ন বাস্তবায়িত করে তুলেছে টাটা গোষ্ঠী (Tata Solar Project in Dooars)। এর মাধ্যমে আশা করা যাচ্ছে আগামী ৫ থেকে সাড়ে ৫ বছর পর বিনামূল্যেই পাওয়া যাবে বিদ্যুৎ।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Solar Panel: হুঁস করে কমে যাবে বিদ্যুৎ বিল, কীভাবে আবেদন করবেন বাড়িতে সরকারি সোলার প্যানেলের

চা বাগানের সমস্ত কাজ সৌরশক্তির মাধ্যমে হলে বিদ্যুতের বিলের ক্ষেত্রে নানা ধরনের সুবিধা হবে। এশিয়ায় এই চা বাগানেই প্রথম বৃহৎ পরিসরে এই সোলার প্যানেল লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং যা কর্যকর করা হচ্ছে। এর মধ্যে দৈনিক সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। সোলার প্যানেল দ্বারা প্রস্তুত হওয়া বিদ্যুৎ প্রথম যায় কারখানায়। কারখানা থেকে অন্য অংশে সরবরাহ হয়। পরিবেশ বান্ধব এই পদ্ধতিটি ব্যাবহার করলে যেমন পরিবেশের উন্নয়ন হবে ঠিক তেমনি বিদ্যুতের খরচে বর্তমান হারে ৮০ লক্ষ থেকে ৯০ লক্ষ টাকা সাশ্রয় হবে।

চাংমারির ম্যানেজার গজেন্দ্র সিসোদিয়া বলেন “আমরা এখানে যে সোলার পাওয়ার জেনারেশন প্যানেল বসিয়েছি তা বাই ফেসিয়াল। অর্থাৎ প্যানেলের যে অংশটি সূর্যের দিকে বা নিচের অংশটি রয়েছে, তা উভয় পক্ষের বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম। দেশের কোনো চা শিল্পে প্রথমবারের মতো এমন আয়োজন করা হয়েছে। বাগান সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, প্রকল্পটি শুরু করতে যে অর্থ ব্যয় হয়েছে তা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আসবে। যা সাশ্রয় হবে তা বৃক্ষরোপণ উন্নয়ন ও শ্রমকল্যাণ খাতে ব্যয় করা হবে”।

Advertisements