TCS has maintained itself as the number one employer in the country for 9 years: বড় বড় কোম্পানিগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্তে, প্রতিটা ছোটো খাটো বিষয় নিয়ে। একজন আরেকজনকে টক্কর দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছে প্রতিনিয়ত। নিয়োগ প্রক্রিয়া অর্থাৎ চাকরি দেওয়া নিয়েও চলছে প্রতিযোগিতা। আর সেই প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে টাটা কনসালটেন্সি (TCS)। ৯ বছর ধরে সবথেকে বেশি সংখ্যক কর্মীকে নিয়োগ করে প্রথম স্থান বজায় রেখে চলেছে এই কোম্পানি।
সম্প্রতি কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত একটি সমীক্ষা চালায় একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এই দেশগুলির প্রায় ৩২ টি প্রথম সারির কোম্পানি কে নিয়ে এই সমীক্ষা চালানো হয়। আর তাতে আবারো প্রথম স্থানে নিজেদের নাম খোদাই করেছে টাটা কনসালটেন্সি (TCS)। বর্তমানে ৫৫ টি দেশে টাটা কনসালটেন্সির শাখা প্রশাখা ছড়িয়ে রয়েছে। আর তাতে ১৫৩ টি দেশের প্রায় ৬ লক্ষ মানুষ কর্মী হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন। আর এদের মধ্যে মহিলা কর্মীর সংখ্যা ৩৬ শতাংশ।
টাটা কোম্পানি (TCS) থেকে জানানো হয়, নতুন প্রতিভাকে সুযোগ দেওয়ার এবং যুব সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্যই তাদের এই উদ্যোগ। টানা ৯ বছর ধরে একইভাবে বিশ্বে নিয়োগ কারী সংস্থা হিসেবে শীর্ষে থাকায় তাদের কোম্পানি আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। কর্মীদের সাথে অংশীদারিত্ব ভাগ করে নিয়ে এগিয়ে চলেছে টাটা কনসালটেন্সি।
আরও পড়ুন ? TATA vs Ambani: এই ব্যবসায় টাটাদের রমরমা বাজার! দেখেশুনে চরম হিংসা আম্বানিদের, নিলেন নতুন পদক্ষেপ
টপ এমপ্লয়ার্স ইনস্টিটিউট এর তরফ থেকে করা এই সমীক্ষায় টাটা কনসালটেন্সিকে (TCS) দীর্ঘমেয়াদী ভর্সাযুক্ত নিয়োগকারী সংস্থা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমানে একে গ্লোবাল টপ নিয়োগ কর্তাও বলে চলে। বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। কোম্পানির এইচআর পলিসি, পরিবেশ, কর্মীদের গুণাবলী এছাড়া কর্মীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া বা নিয়োগ পরবর্তী সুস্থতার দিকে খেয়াল রাখার যে নিয়ম-কানুন রয়েছে সেই বিষয়গুলি সম্পর্কে খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে এই সমীক্ষার মাধ্যমে। মোট কুড়িটি বিষয়ের উপর চুল চেড়া বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
টাটা কনসালটেন্সির (TCS) চিপ এইচআর বলেন, “টপ এমপ্লায়ার্স ইনস্টিটিউট এর তরফ থেকে বিশ্বের নিয়োগ কারী সংস্থাগুলির মধ্যে শির্ষ স্থান অধিকার করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। ন বছর ধরে আমরা এই শংসাপত্র পেয়ে চলেছি। কোম্পানি যে সিদ্ধান্ত নিতে কোন ভুল করেনি এটাই তার প্রমাণ।“ এই সাফল্য বিশ্বের দরবারে তাদের জায়গা আরো জোরালো করতে সাহায্য করবে। ০১.০২.২০২৪ থেকে কর্মীদের জন্য ওয়ার্ক ফ্রম হোম এর ব্যবস্থা পাকাপাকিভাবে বন্ধ করে দেয় টাটা কনসালটেন্সি। তবে এই মুহূর্তে কোম্পানির পক্ষ থেকে কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি ও ভেরিয়েবল পে সংক্রান্ত বিষয়ে নজর দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে টিম লিডারদের।