বাংলাএক্সপি ডেস্ক : চা চাষ মূলত পাহাড়ি এলাকাতে হয়ে থাকে। চা চাষের ক্ষেত্রে ভারতের দার্জিলিং বিখ্যাত, তালিকায় নাম রয়েছে আসামেরও। আর এসবের পর এবার বীরভূমের মতো এলাকাতেও চা চাষের (Birbhum Tea Tree Plantation) উদ্যোগ নেওয়া হল। যে উদ্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে মোটা রোজগারের পথ খুলে যেতে পারে চাষীদের সামনে। তবে বিষয়টি খুব সহজ মনে হলেও তা কিন্তু নয়।
চা চাষ করা এতটাই সহজ নয় দক্ষিণবঙ্গের বীরভূমের মতো রুক্ষ মাটিতে। তবে এই কঠিন বিষয়টিকেই সহজ করে তোলার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে পাহাড়ি এলাকার মত চা চাষের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে বীরভূমের মাটিতে চা গাছের চাষ। পুরো বিষয়টি এখন পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করা হয়েছে। যদি সফলতা আসে তাহলে আগামী দিনে বীরভূমের বিভিন্ন জায়গাতে চা চাষ লক্ষ্য করা যেতেই পারে।
চা চাষের জন্য যে ধরনের মাটি প্রয়োজন সেই ধরনের মাটি আনার পাশাপাশি ঢালু জমি অর্থাৎ পুকুরের প্যারকে চা চাষের জন্য কাজে লাগানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি চা চাষের জন্য যে পরিমাণ বৃষ্টি প্রয়োজন হয় তা বীরভূমে হয় না। প্রয়োজনীয় সেই বৃষ্টির চাহিদা মেটানোর জন্য কৃত্রিমভাবে জল স্প্রে করে বৃষ্টির মতো অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা হবে। আর এই পুরো বিষয়টি নিয়ে এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে বিশ্বভারতীর পল্লী শিক্ষা ভবনের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন : Shopping Mall: রাজ্যের সব জেলায় সরকারের সিনেমা হল নিয়ে ৫ তলা শপিংমল, সবার আগে এই ১০ জায়গায়
বিশ্বভারতীর পল্লী শিক্ষা ভবনের পক্ষ থেকে এমন ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পতিত পুকুরের পাড় বেছে নেওয়া হয়েছে এবং সেই জায়গা পরিষ্কার করে সেখানে খনন করার পর চা চাষের জন্য উপযোগী মাটি দেওয়া হয়েছে। তাদের তরফ থেকে চার ধরনের চা গাছ আনা হয়েছে, যেগুলি রোপন করে দেখা হবে কোন ধরনের চা গাছ বীরভূমের মত পরিবেশে ভালো ফলন দিতে পারে। পুরো বিষয়টি পরীক্ষামূলকভাবে হওয়ার কারণে এর ফলাফল কি আসবে তা দেখতে আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে।
যদি এমন পাইলট প্রজেক্ট সফল হয় তাহলে বীরভূমের চাষীরা বিশ্বভারতীর পল্লী শিক্ষা ভবনের পরীক্ষা নিরীক্ষা অনুসরণ করে ওই একই পদ্ধতিতে বীরভূমের মাটিতেই চা চাষ করতে পারবেন। চা যেহেতু দামি ফসল তাই এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে আগামী দিনে বীরভূমের চাষীরা বড় রোজগারের সুযোগ পাবেন। তবে এর পাশাপাশি পল্লী শিক্ষা ভবনের অধ্যক্ষ ডঃ বিনয় কুমার সরেন জানিয়েছেন, গুণগত মান পাহাড়ি এলাকার মত না পাওয়া গেলেও তাদের তরফ থেকে পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে চা চাষ শুরু করা হয়েছে। প্রজেক্ট সফল হলে সবার উপকৃত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।