Teachers Reaction: গরমের ছুটি শেষ! শিক্ষা দপ্তরের স্কুল খোলার নয়া দিন ঘোষণা, অসন্তোষ শিক্ষক মহলে

Madhab Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : গত ২২ এপ্রিল থেকে এই বছর রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও সরকার পোষিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। মূলত তীব্র তাপপ্রবাহ চলার কারণেই রাজ্য শিক্ষা দপ্তর তড়িঘড়ি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। গরমের ছুটি (Summer Vacation) ৬ মে’র পরিবর্তে এগিয়ে আনা হয়েছিল ২২ এপ্রিল। কিন্তু কবে স্কুল পুনরায় খুলবে তা সেই সময় জানানো হয়নি।

পুনরায় স্কুল খোলা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে জল্পনা চলার পর অবশেষে গত সোমবার রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে দিন ঘোষণা করা হয়। আর এই দিন ঘোষণার পরই শিক্ষক মহলের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে, তাদের তরফ থেকে শিক্ষা দপ্তরের এমন দিন ঘোষণায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য যে গরমের ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছিল তা ৬ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত। এর ফলে মনে করা হচ্ছিল, ৩ জুন পুনরায় সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির দরজা খুলে যাবে। কিন্তু সম্প্রতি শিক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, ৩ জুন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মীদের স্কুলে আসতে হলেও পড়ুয়াদের আসতে হবে না। পড়ুয়াদের জন্য স্কুল শুরু হবে ১০ জুন সোমবার। আর এই বিষয়টি নিয়েই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষক মহলের একাংশ।

আরও পড়ুন 👉 June New Rules: ৫ দিন পরেই বদলে যাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ ৪ নিয়ম, সময় থাকতে জেনে নেওয়াটাই ভালো

মূলত শিক্ষক মহলের একাংশের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এইভাবে টানা ৪৯ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কোন যুক্তি নেই। এর পাশাপাশি তাদের তরফ থেকে এটাও মনে করা হচ্ছে, ৩ তারিখের জায়গায় ১০ তারিখ পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খোলা অর্থাৎ আরও ৭ দিন পিছিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও কোন যুক্তি নেই। তাদের তরফ থেকে শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে রাজ্য সরকারের উদাসীনতাকেই দায়ী করা হয়েছে। যে সকল শিক্ষক-শিক্ষিকারা দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তারা পড়ুয়াদের পড়াশোনা এবং ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই জানিয়েছেন।

মধ্যশিক্ষা শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নীলকান্ত ঘোষ স্কুল খোলার দিন বারবার পিছিয়ে দেওয়া এবং টানা ৪৯ দিন স্কুল বন্ধ রাখার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। একইভাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী। তিনি মনে করছেন, আবহাওয়া যখন এখন অনুকূল তখন ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর দিন থেকেই নিয়মিত স্কুল খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া উচিত ছিল শিক্ষা দপ্তরের।