মাথায় হাত আম্বানির! কেন্দ্রের নতুন সিদ্ধান্ত ইন্টারনেট ব্যবসায় দরজা খুলে দিল এলন মাস্ককে

নিজস্ব প্রতিবেদন : গত কয়েক বছর ধরেই ভারতে এলন মাস্কের (Elon Musk) স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা শুরু হওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। এই জল্পনা শুরু হতেই রীতিমত চাপ বাড়তে শুরু করেছে Jio, Airtel সহ বিভিন্ন টেলিকম সংস্থাগুলির। শুধু জল্পনা নয়, একবার প্রি বুকিংও শুরু করে দিয়েছিল এলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক (Starlink)। যদিও সেবার লাইসেন্স সংক্রান্ত অনুমতি না মেলায় প্রি বুকিংয়ের টাকা ফেরত দিতে হয়েছিল সংস্থাকে।

তবে এবার যে বিষয়টি সামনে এসেছে তাতে বেজায় খুশি এলন মাস্ক। তার এমন খুশি হওয়ার মূলে রয়েছে কেন্দ্র সরকারের টেলিকমিউনিকেশন বিল ২০২৩ (Telecommunication Bill 2023)। গত সোমবার পার্লামেন্টে নতুন এই বিল পাশ হয়েছে। নতুন এই বিল পাস হওয়ার পর ১৩৮ বছরের পুরাতন বিলের জায়গায় নতুন বিল কার্যকর হবে। নতুন এই বিল থেকে সাধারণ মানুষেরা অনেক উপকৃত হবেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে তার থেকেও বেশি উপকৃত হতে চলেছে সেইসব সংস্থা যারা স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা দিয়ে থাকে।

কেন্দ্রের এই নতুন সিদ্ধান্তের ফলে বলাই বাহুল্য সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে এলন মাস্কের সংস্থা। কেননা এতদিন ভারতে তাদের পরিষেবা শুরু করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা ছিল স্পেকট্রাম লাইসেন্স। এর জন্যই বারবার তাদের পরিষেবা ভারতে চালু হওয়ার ক্ষেত্রে আটকে যাচ্ছিল। কিন্তু এবার আর লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে কোন প্রতিবন্ধকতা থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। আর এতেই রীতিমতো চাপ বাড়ছে মুকেশ আম্বানি থেকে অন্যান্যদের বলেই মনে করছেন টেলি বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন 👉 চাপ বাড়ছে Jio-র! ঠিক কবে ভারতে আসছে এলন মাস্কের সস্তার ইন্টারনেট Starlink!

নতুন যে বিল আনা হয়েছে সেই বিল অনুযায়ী এবার সেইসব সংস্থাকে নিলাম না করেই লাইসেন্স দেওয়া হবে যারাস্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করে থাকে। এলন মাস্ক বারবার দাবি করে আসছিলেন, ভারতে তাদের ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে সব সময় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল স্পেকট্রাম নিলাম। এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এলন মাস্ক ছাড়াও বিদেশি অন্যান্য যেসব সংস্থা রয়েছে তারা স্পেকট্রাম নিলাম ছাড়াই লাইসেন্স দাবি করছিলেন।

স্টারলিংক সহ অন্যান্য বিদেশি যেসব সংস্থা রয়েছে, যারা স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা দিয়ে থাকে তাদের জন্য কেন্দ্র সরকারের নতুন এই বিল আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন স্পেকট্রাম নিলাম ছাড়াই তারা ভারতে ব্যবসা করার জন্য লাইসেন্স পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিল ভারতের বাজারে প্রতিযোগিতা আরও বাড়াবে। এর ফলে সাধারণ মানুষেরাও উপকৃত হবেন। তবে সাধারণ মানুষেরা উপকৃত হলেও জিও, এয়ারটেল ইত্যাদি সংস্থাগুলির চাপ বাড়বে, বৈ কমবে না।