There is a chance of passing the Higher Secondary exam by the Semester System even after failing: চলতি শিক্ষা বর্ষে, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে চালু হয়েছে সেমিস্টার পদ্ধতি (Higher Secondary Semester System)। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বছরে দুবার মূল্যায়ন করা হবে এবং সেই মতো পরীক্ষার ফলও ঘোষণা করা হবে। একাদশ ও দ্বাদশ মিলিয়ে মোট চারটি সেমিস্টারে পরীক্ষা হবে। একাদশ শ্রেণিতে হবে প্রথম সেমিস্টার এবং দ্বিতীয় সেমিস্টার দ্বাদশ শ্রেণীতে হবে তৃতীয় সেমিস্টার এবং চতুর্থ সেমিস্টার।
উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে মোট ৬ টি বিষয় রয়েছে অতিরিক্ত বিষয়সহ। এর মধ্যে ৫ টি বিষয়ে ৩০ শতাংশ নম্বর পেলে তাকে পাশ বলে গণ্য করা হয়। একাদশের প্রথম সেমিস্টার এবং দ্বাদশ শ্রেণীর তৃতীয় সেমিস্টারে পরীক্ষা না দিলেও উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার সম্ভাবনা রয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে এতদিন সিসি বা স্পেশাল পেপার বলে যেটা ছিল সেটাকে তুলে দিয়ে তার বদলে সাপ্লিমেন্টারি বলে নতুন পেপার যুক্ত করা হয়েছে। কেউ যদি একাদশ বা দ্বাদশ শ্রেণীর প্রথম, তৃতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা না দেয় তাহলে দ্বিতীয় ও চতুর্থ সেমিস্টারে (Higher Secondary Semester System) গিয়ে সাপ্লিমেন্টারি হিসেবে সেই পরীক্ষা দিতে পারবে। তবে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় ও চতুর্থ সেমিস্টারে পাশ করা বাধ্যতামূলক। সেখানে যদি কেউ ফেল করে তাহলে তাকে আবার নতুন করে পরীক্ষায় বসতে হবে। একবার রেজিস্ট্রেশন করলে সাত বছর অব্দি সাপ্লিমেন্টারি সহ পরীক্ষা দিতে পারবে শিক্ষার্থীরা।
একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি বিষয় ৩০% নম্বর পেয়ে পাশ করতে হবে। যদি কোন শিক্ষার্থী প্রথম সেমিস্টারে (Higher Secondary Semester System) কোন বিষয়ে ৩০ শতাংশ নম্বর পেতে অসামর্থ্য হয় তবে দ্বিতীয় সেমিস্টারে তাকে সাপ্লিমেন্টারি হিসেবে সেই পরীক্ষা দিতে হবে। ২ টি সেমিস্টার মিলিয়ে প্রতিটি বিষয়ে ৩০ শতাংশ নম্বর পেলে তবেই তাকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য উত্তীর্ণ বলে গণ্য করা হবে। যদি তা না হয় তবে এই শিক্ষার্থী দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির প্রথম ও দ্বিতীয় সেমিস্টার এর ফল অনলাইনে ঘোষণা করা হতে পারে।
দ্বাদশ শ্রেণীর কোন শিক্ষার্থী যদি তৃতীয় ও চতুর্থ সেমিস্টার (Higher Secondary Semester System) মিলিয়ে অকৃতকার্য হয়, তবে তাকে পরের বছর আরো একবার সুযোগ দেওয়া হবে চতুর্থ সেমিস্টারের পরীক্ষাগুলি সাপ্লিমেন্টারি হিসেবে দেবার। পরবর্তী বছরেও শুধুমাত্র দ্বাদশ শ্রেণীর বিষয়গুলির উপরে পরীক্ষা দিতে পারবে সেই শিক্ষার্থী। নতুন নিয়ম অনুযায়ী কোন শিক্ষার্থী চাইলে একাদশ শ্রেণির প্রথম সেমিস্টার এবং দ্বাদশ শ্রেণী তৃতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা না দিয়েও দ্বিতীয় ও চতুর্থ সেমিস্টারের পরীক্ষায় বসতে পারে। কিন্তু সে ক্ষেত্রেএক দিনে ২ টি করে পরীক্ষা দিতে হবে। ফলে শিক্ষার্থীদের উপর চাপ বেড়ে যাবে। তাই সেমিস্টারের পরীক্ষা সেমিস্টারেই কমপ্লিট করার পরামর্শ দিয়েছে শিক্ষাবিদরা।
যদি কোন শিক্ষার্থী চারটি সেমিস্টার (Higher Secondary Semester System) পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয় তবে নম্বরের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাবেন তারা। সেমিস্টারের মাধ্যমে খুব সহজেই একেকটি বিষয়ে নম্বর অনেকটাই বেড়ে যাবে শিক্ষার্থীদের। এছাড়াও ৬ টি বিষয়ের মধ্যে শিক্ষার্থীকে পাস করতে হবে মাত্র ৫ টি বিষয়ে। কোন শিক্ষার্থী যদি একটি বিষয় ৩০ এর কম পায় তাহলে সে ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাবে সে। ধরা যাক, কোনো শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট একটি বিষয়ে ৫ নম্বর কম পেয়েছে। তাহলে সেই শিক্ষার্থী যে বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে সেখান থেকে ৫ নম্বর কমিয়ে, কম পাওয়া বিষয়টিতে ৫ নম্বর যোগ করে দেওয়া হবে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের পাস করা অনেক সহজ হয়ে যাবে। তবে এই সুযোগ শুধুমাত্র একটি বিষয়ের ক্ষেত্রেই পাওয়া যাবে। যদি কোন শিক্ষার্থী একাধিক বিষয় কম নম্বর পায়, তবে তাকে অকৃতকার্য বলেই ধরে নেওয়া হবে।