State without CAA: লাগু হবে না CAA, সারা দেশে হলেও বাদ এই ৪ রাজ্য

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্র সরকার গত সোমবার এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেয়। কেন্দ্রের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে ২০১৯ সালে পাশ হওয়ার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা CAA লাগু হয়ে গেল দেশজুড়ে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির তরফ থেকে এবং সমাজের বেশ কিছু মানুষের বিরোধিতা সত্ত্বেও শেষমেষ তা লাগু হওয়ায় নতুন অধ্যায় লিখল কেন্দ্র। তবে অনেকের কাছেই জানা নেই, দেশের সব প্রান্তে (State without CAA) কিন্তু নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু হয়নি। তালিকা থেকে বাদ রয়েছে ৪ রাজ্য।

Advertisements

২০১৯ সালে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু করা হয় সেই আইনে ভর করে এবার পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশের মত মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলি থেকে অত্যাচারিত হয়ে যদি হিন্দু, শিখ, পার্সি, খ্রিস্টান, জৈন, বৌদ্ধ অর্থাৎ অমুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরা ভারতে আশ্রয় নেন তাহলে তারা অনেক সহজেই ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন।

Advertisements

১৯৫৫ সালে চালু হওয়া নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছিল ভারতের নাগরিকত্ব পেতে হলে ১১ বছর ভারতে আশ্রয় এবং টানা ১ বছর ভারতে বসবাস করার পরই ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করা যাবে। কিন্তু ২০১৯ সালের সংশোধনী আইনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে আশ্রয় নেওয়া ঐ সকল মানুষেরা পাঁচ বছর আশ্রয় এবং টানা এক বছর থাকার পরই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

Advertisements

আরও পড়ুন ? CAA Document: ভারতের নাগরিকত্ব পেতে কী কী ডকুমেন্ট লাগবে, যতটা সহজ ভাবছেন ততটা নয়, রইল তালিকা

নতুন এই সংশোধনী আইন সোমবার থেকে দেশের সমস্ত কোনায় লাগু হয়ে গেলেও দেশের সেই সকল রাজ্যগুলিতে তা চালু হচ্ছে না, যে সকল রাজ্যে অন্য রাজ্যের বাসিন্দাদের যাতায়াত করার জন্য ইনার লাইন পারমিটের প্রয়োজন হয়। এই সকল রাজ্যগুলি মূলত সীমান্ত এলাকায়। এমন তালিকায় রয়েছে চারটি রাজ্য আর সেই চারটি রাজ্য হল মনিপুর, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড এবং মিজোরাম।

এছাড়াও ৯ জনজাতির ক্ষেত্রে নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু হবে না। সেই ৯ জনজাতির ক্ষেত্রে সংবিধানের ৬ নম্বর ধারার অন্তর্গত স্বায়ত্ত পরিষদ তৈরি করা হয়েছে। যে সকল জনজাতি এই তালিকায় রয়েছে তারা হলো অসমের কার্বি আঙ্গলং, দিমা হাসাও, বোরোল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল ক্ষেত্র, মেঘালয়ের গারো হিলস ও ত্রিপুরার আদিবাসী ক্ষেত্র। সুতরাং দেশের সমস্ত জায়গাতেই যে সিএএ লাগু হয়ে গেল তা নয়, আবার সবার জন্য চালু হলো তাও নয়।

Advertisements