নিজস্ব প্রতিবেদন : নিজেদের সঞ্চিত টাকা-পয়সার উপর একটু বেশি সুদ পাওয়া যাবে এমন আশা প্রত্যাশা প্রত্যেক বিনিয়োগকারী করে থাকেন। যে কারণে বিনিয়োগকারীদের বড় অংশ কোন ব্যাঙ্কে (Bank) বেশি সুদ দিচ্ছে তার ওপর খোঁজ খবর লাগিয়েই বিনিয়োগ করেন। বেশি সুদের কথা যখনই বলা হয় তখনই মনে আসে ফিক্সড ডিপোজিটের (Fixed Deposit) প্রসঙ্গ। তবে এবার একটি ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিটের সুদের হার এখন হার মানিয়েছে সমস্ত ব্যাঙ্ককে।
দেশে যে সকল সুপরিচিত ব্যাংক রয়েছে যেমন স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, ইন্ডাসিন্ড ব্যাংক সহ অন্যান্য ব্যাংকগুলি গত কয়েক মাস ধরে তাদের স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুদের হার বৃদ্ধি করেছে এবং সুদের হার বৃদ্ধি করার এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। তবে যে ব্যাংকটির কথা বলা হচ্ছে সেই ব্যাংকের মতো সুদ কোন ব্যাংক দিচ্ছে না।
আসলে গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য বড় বড় ব্যাংকগুলির তুলনায় অনেক ছোট ছোট ব্যাংক রয়েছে যেগুলি গ্রাহকদের বড় বড় অফার দিয়ে থাকে। আর সেই সকল বড় বড় অফারে গ্রাহকরা অনেক উপকৃত হন। ঠিক সেই রকমই এই তালিকায় এবার নাম লিখিয়েছে স্মল ফাইন্যান্স ব্যাঙ্ক (Small Finance Bank)। বিভিন্ন সময় এই ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের আকর্ষণীয় সুদের হার দিয়ে থাকে বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন ? Fixed Deposit Interest Rate: ৮ শতাংশের বেশি সুদ! ফিক্সড ডিপোজিটে বড় অফার দিচ্ছে এই ব্যাঙ্ক
এবার স্মল ফাইন্যান্স ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের ফিক্সড ডিপোজিটে ৯ শতাংশ সুদ দিচ্ছে, এই সুদের হার দেশের অন্যান্য বহু বড় বড় ব্যাংকের থেকে বেশি। গত ২ জানুয়ারি এই ব্যাংকের তরফ থেকে তাদের গ্রাহকদের জন্য নতুন সুদের হার প্রকাশ করা হয়েছে এবং তাতে দেখা যাচ্ছে যে সকল প্রবীণ নাগরিকরা তাদের ব্যাংকে এক বছরের জন্য ঠিক ডিপোজিট করবেন তারা ৯ শতাংশ সুদ পাবেন। সাধারণ নাগরিকরা ৮.৫% সুদ পাবেন।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, অপরিচিত এই ব্যাংকটিতে টাকা রাখা কতটা সুরক্ষিত? দেশের এখন প্রতিটি ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপর কড়া নজরদারি চালায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। কোন ব্যাংক অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কোনরকম অসঙ্গতি দেখলেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে তাদের প্রথমে সতর্ক করা হয় এবং পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এমনকি কোন ব্যাংকের দেউলিয়া হওয়ার মতো ঘটনা ঘটলেও সেই ব্যাংকের গ্রাহকরা ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পেয়ে থাকেন ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স এবং ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশনের মাধ্যমে।