Ludhiana Farmer: নাকের বদলে নরুণ! এই কারণে এক আস্ত ট্রেনের মালিক হয়ে উঠলেন লুধিয়ানার এই কৃষক

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

This farmer from Ludhiana became the owner of an entire train: একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে “নাকের বদলে নুরুন”। অর্থাৎ সামান্য কিছুর বিনিময়ে অনেক বড় কিছু পেয়ে যাওয়া। তেমনই ঘটনা ঘটলো লুধিয়ানায়। জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ হিসাবে আস্ত একটা এক্সপ্রেস ট্রেনের মালিক হয়ে গেলেন এক কৃষক (Ludhiana Farmer)। ওই কৃষকের জমির উপর দিয়ে রেললাইন পাতার কারণে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই ক্ষতিপূরণ না দেওয়ায় গোটা ট্রেনটাকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিয়ে দিতে বাধ্য হলো রেল কর্তৃপক্ষ। এমনই অবাক করা ঘটনা ঘটেছে লুধিয়ানায়। লুধিয়ানার ট্রেন সংক্রান্ত এই কাহিনী শুনে তাজ্জব বনে গেছেন সকলেই।

Advertisements

রেললাইন পাতার জন্য লুধিয়ানার এই কৃষকের (Ludhiana Farmer) কাছ থেকে জমি নিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ। জমির বিনিময়ে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেবার কথা ছিল রেলের। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও মেলেনি ক্ষতিপূরণের টাকা। পাঞ্জাবের লুধিয়ানার সেই কৃষক রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ না দেওয়ার কারণে অভিযোগ জানায় আদালতের কাছে। সেই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই কৃষকের টাকা ফেরত দেবার নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু কোর্টের নির্দেশ আসার পরও সেই ক্ষতিপূরণ মেটায়নি রেল কর্তৃপক্ষ। রেলের এই গড়িমশিই কাল হলো নর্দান রেলের। অন্যদিকে এক কৃষক হয়ে গেলো গোটা একটা ট্রেনের মালিক।

Advertisements

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আর্থিক ক্ষতিপূরণ পরিশোধ না করার কারণে একটু অবাক করা রায় দিল আদালত। আদালতের নির্দেশে নর্দান রেলওয়ের একটি গোটা এক্সপ্রেস ট্রেনকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হলো সেই কৃষককে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া এক্সপ্রেস ট্রেনটির নম্বর ১২০৩০। ট্রেনটির নাম স্বর্ণ শতাব্দী এক্সপ্রেস। ট্রেনটি চলাচল করে অমৃতসর থেকে দিল্লির মধ্যে। আর্থিক ক্ষতিপূরণ পরিষোধ না করার কারণে গোটা স্বর্ণ শতাব্দী এক্সপ্রেস ট্রেনটিকেই ক্ষতিপূরণের সম্পত্তির মধ্যে যুক্ত করল আদালত। হঠাৎ করেই পাঞ্জাবের লুধিয়ানার এক কৃষক (Ludhiana Farmer) থেকে এক মুহূর্তে হয়ে গেলেন স্বর্ণ শতাব্দী এক্সপ্রেসের মালিক।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Eastern Railway: ছোট্ট কাজে বড় সাফল্য, ৩ মাসে ১২ কোটি টাকা ঢুকল পূর্ব রেলের ঘরে!

লুধিয়ানার ওই কৃষকের নাম সম্পূরণ সিংহ। ২০০৭ সালে লুধিয়ানা থেকে চন্ডিগড় রেল পরিষেবা চালু করার জন্য রেললাইন পাতার উদ্যোগ নেয় নর্দান রেলওয়ে। সেই কাজের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয় বেশ কিছু মালিকের কাছ থেকে। তার মধ্যে একটি জমি ছিল সম্পূরণ সিংহেরও। জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয় সম্পূরণ সিংহকে। কিন্তু প্রায় ৮ বছর কেটে যাওয়ার পরও বাকি টাকা পরিশোধ করেনি রেল। এরপর ২০১৫ সালে আদালতের তরফ থেকে বাকি ১.৫ কোটি টাকা পরিশোধ করার নির্দেশ দেওয়া হয় নর্দান রেলওয়েকে। কিন্তু কোর্টের নির্দেশ আসার পরও সেই নির্দেশ মানেনি রেল কর্তৃপক্ষ। রেলের এই গাফিলতি পাঞ্জাবের এক সামান্য কৃষককে (Ludhiana Farmer) বানিয়ে দিয়েছে গোটা একটা ট্রেনের মালিক। আদালতের রায় না মানার কারণে আদালতের তরফ থেকে এই অদ্ভুত রায় দেওয়া হয়েছে।

ক্ষতিপূরণের সম্পত্তির সাথে আস্ত ১টি এক্সপ্রেস ট্রেনকে যুক্ত করে সমস্ত সম্পত্তি সম্পূরণ সিংহের (Ludhiana Farmer) হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই নোটিশ টাঙিয়ে দিয়ে আসা হয়েছে স্টেশন মাস্টারের ঘরে। স্টেশনে ট্রেন চালকের হাতে আদালতের এই নির্দেশনা তুলে দেওয়া হয়। সেই মুহূর্তে সেখানে উপস্থিত ছিলেন সম্পূরণ সিংহ এবং তার উকিল। তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেনটির মালিকানা তুলে দেওয়া হয় সেই কৃষকের হাতে। কৃষক থেকে হঠাৎ করে একটি গোটা ট্রেনের মালিক হয়ে যাবার পরও তিনি বলেন, ট্রেন বেশিক্ষণ আটকে রাখলে যাত্রীদের অসুবিধা হতে পারে তাই তাকে আটকে রাখাটা ঠিক হবে না। আইনের মর্যাদা বজায় রাখতে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে আদালতকে এমনটাই জানিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু একটা গোটা ট্রেনের মালিকানা পাবার পরও সেই ট্রেনটি চোখে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার নেই লুধিয়ানার সেই কৃষকের। ট্রেন তো আর ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন না। শুধু মাঝে মাঝে সেই ট্রেনটিকে চোখের দেখা দেখতে পারবেন তিনি।

Advertisements