নিজস্ব প্রতিবেদন : রেশন (Ration) ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষদের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয় সরকার। তবে এই রেশন ব্যবস্থা নিয়েই বিভিন্ন সময় নানান ধরনের অভিযোগ উঠতে দেখা যায়। কখনো অভিযোগ তুলতে দেখা যায় উপভোক্তাদের, আবার কখনো কখনো অভিযোগ তুলতে দেখা যায় রেশন ডিলারদের (Ration Dealer)। এসবের মধ্যেই এবার রেশন দোকান (Ration Shop) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল রেশন ডিলারদের সংগঠন।
রেশন ডিলারদের সংগঠন অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন। আজ অর্থাৎ শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত রেশন দোকান, যেগুলি রেশন ডিলারদের এই সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত তাদের তরফ থেকে রেশন দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আচমকা এইভাবে রেশন দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে এক রেশন ডিলারের অস্বাভাবিক মৃত্যু।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির এক রেশন ডিলার সম্প্রতি আত্মহত্যা করেছিলেন। রেশন ডিলারদের সংগঠনের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, সুকুমার দাস নামের ওই রেশন ডিলার মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করেছিলেন। ওই রেশন ডিলারের মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করার পিছনে রয়েছে ই-পস সংক্রান্ত একটি ভুল তথ্য বলেই দাবি করা হচ্ছে ডিলারদের সংগঠনের তরফ থেকে।
ডিলারদের সংগঠনের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, ই-পস মেশিনে অনেক ক্ষেত্রেই খাদ্য সামগ্রী মজুত রাখার পরিমাণ ভুল দেখাচ্ছে। যে কারণে এই বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। সংগঠনের একাংশের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, ই-পস মেশিনে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ার কারণেই ওই রেশন ডিলার সুকুমার দাস মানসিক অবসাদগ্রস্ত হন এবং তারপরেই তিনি এমন পথ বেছে নেন।
রেশন ডিলারদের সংগঠনের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বিষয়টি নিয়ে তারা খাদ্য দপ্তরের প্রধান সচিবের কাছে চিঠিও পাঠিয়েছেন। তাদের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এমন ভুল তথ্য দেখানোর ফলে স্বাভাবিকভাবেই অসুবিধায় পড়ছেন রেশন ডিলাররা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কাঁথির রেশন ডিলারদের তরফ থেকে সারা রাজ্যে একদিনের জন্য রেশন দোকান বন্ধ রাখার ডাক দেওয়া হয়েছিল এবং সেই বিষয়টিকে সমর্থন করে ফেডারেশন। এর ফলে গোটা রাজ্যেই শুক্রবার রেশন দোকানে বন্ধ থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়বেন উপভোক্তারা।