রাজনীতির কারণে বঙ্গ রাজনীতিতে তিন দাম্পত্য জীবনে সংসারিক টানাপোড়েন

নিজস্ব প্রতিবেদন : বঙ্গ রাজনীতিতে শাসক এবং বিরোধী দলের নেতাদের মধ্যে বিরোধের ঘটনা দীর্ঘদিনের। তবে মাঝে মাঝেই এই বিরোধ বা বিরোধিতা দূরে সরিয়ে তাদের দল পরিবর্তন করতে দেখা যায়। সাম্প্রতিককালের রাজনীতিতেও যাও ঘটমান বর্তমান। তবে রাজনীতির কারণেও বঙ্গ রাজনীতিতে তিন দাম্পত্য জীবনে ফাটল ধরার মতো উদাহরণও রয়েছে।

আর এই তিন জোড়া দাম্পত্যে ফাটলের মধ্যে সবচেয়ে আলোচ্য শোভন-রত্না দাম্পত্য জীবনের ফাটল। যদিও ওয়াকিবহাল মহলের বিশিষ্টজনেরা তাদের এই দাম্পত্যের ফাটলের কারণ হিসাবে কেবল রাজনীতিকে চিহ্নিত করতে চান না। তাদের এই দাম্পত্যের ফাটলের কারণ হিসাবে তৃতীয়জনের প্রবেশকেও অনেকে দায়ী করে থাকেন। দাম্পত্য কলহ থেকে রাজনীতির পট পরিবর্তন হলেও তারা মনে করেন। যদিও এনিয়ে রাজনৈতিক মহলে এখনও নানান বিতর্ক এবং জল্পনা জিয়ে রয়েছে।

বর্তমানে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং রত্না চট্টোপাধ্যায়ের অশান্তির পর শোভন চট্টোপাধ্যায় দল ত্যাগ করেন। শাসক দল তৃণমূল ছেড়ে তিনি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান। অন্যদিকে রত্না চট্টোপাধ্যায়কে তুরুপের তাস করে তৃণমূল কংগ্রেস তার ঘাড়ে বেশ কিছু দায়িত্ব তুলে দেয়।

একইভাবে রাজনীতির কারণে নতুন দাম্পত্যের ফাটল শুরু হতে দেখা গিয়েছে সৌমিত্র খাঁ এবং তার স্ত্রী সুজাতা মন্ডল খাঁয়ের মধ্যে। গত সোমবার সুজাতা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। আর এরপরই শুরু হয় দুজনের দাম্পত্য জীবনে কলহ। সুজাতার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের পরেই সৌমিত্র খাঁ চোখের জলে ঘরের লক্ষী চুরি করার মতো অভিযোগ তোলেন। পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট করে জানান, খুব শীঘ্র ডিভোর্সের চিঠি পাঠাবেন বলে। সুজাতাকে লক্ষ্য করে তিনি সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করার বার্তা দেন।

যদিও সৌমিত্র খাঁ-এর এই দাবির পরে সুজাতাকেও ভেঙে পড়তে দেখা যায় এবং তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “রাজনীতির জন্য ১০ বছরের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে এটা কাম্য নয়। রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা হতেই পারে।” তবে দুজনের চোখে জল দেখে ওয়াকিবহাল মহলের বিশেষজ্ঞরা এমন ঘটনাকে বেনজির বলে আখ্যা দিয়েছেন। এখন ইনাদের ভবিষ্যৎ কি হবে তার দিকেই তাকিয়ে এই ওয়াকিবহাল মহল।

তবে এই দুই দাম্পত্য জীবনে সাংসারিক টানাপোড়েনই নয়। এর আগেও রয়েছে আরও এক দম্পতি যাদেরও সংসারে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের লক্ষ্য করা গেছে। তাঁরা হলেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার প্রাক্তন স্ত্রী অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। এপ্রসঙ্গে জয় বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আমার জীবনেও একটি ঘটনা ঘটেছিল একদিন। রাজনীতিতে পালাবদল হোক। নেতা-নেত্রী পরিবর্তন হোক। কিন্তু নেতা-নেত্রী পরিবর্তন গিয়ে কারোর সংসার যেন ভেঙে না যায়।”

জয় বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাম্পত্য জীবনে কলহের কারণ হিসাবে অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আমরা তো দুজনেই প্রথম থেকেই তৃনমূল করতাম। পরে ২০১৪ সালে জয় বিজেপিতে যোগদান করেন।”