অনুব্রত গড়ে ফের শাসক দলের প্রার্থী পরিবর্তন! জল্পনা তুঙ্গে

নিজস্ব প্রতিবেদন : দলের অন্দরে ক্ষোভের কারণে এর আগে দুবরাজপুর বিধানসভার প্রার্থী পরিবর্তন করেছে শাসক দল। দুবরাজপুরের পূর্বঘোষিত প্রার্থী অসীমা ধীবরের পরিবর্তে প্রার্থী করা হয় দেবব্রত সাহাকে। আর এবার প্রার্থী পরিবর্তনের জল্পনা তৈরি হয়েছে মুরারই বিধানসভায়। কিন্তু কীভাবে এই ঘটনার সূত্রপাত।

এই পরিবর্তন নাটকীয় পরিবর্তন বলাই বাহুল্য। কারণ এর আগে মুরারই বিধানসভার কংগ্রেস প্রার্থীকে নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ দেখা দেয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রার্থী পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হয় কংগ্রেসের। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নাম উঠে আসে এলাকার শিশু চিকিৎসক ডাঃ মোশারফ হোসেনের। এখন মোশারফ হোসেন কংগ্রেসের প্রার্থী হওয়ার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে ছুটি চান বলে জানা যায়। আর এরপর এই নাটকীয় পালাবদল শুরু হয়।

মোশারফ হোসেনের বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি কংগ্রেসের প্রার্থী হওয়ার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে ছুটি চেয়েছিলাম। কিন্তু বুধবার সকালে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে ফোন করে তৃণমূলের প্রার্থী হতে বলেন। আর স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী থেকে ফোন পেয়ে নিজের মত পরিবর্তন করেন মোশারফ হোসেন এবং তিনি পুনরায় তৃণমূলের প্রার্থী হতে চেয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে ছুটি চেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

মুরারই বিধানসভায় তৃণমূলের পূর্বঘোষিত প্রার্থী হলেন আব্দুর রহমান। তিনি এর আগেও এই বিধানসভা থেকে জয়ী হয়েছেন। তবে তাকে হঠাৎ পরিবর্তনের কারণে কোনো দলীয় ক্ষোভ নেই বলেই জানা যাচ্ছে। এবিষয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, আব্দুর রহমান করোনা আক্রান্ত হওয়ায় প্রার্থী পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়েছে।

অন্যদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূম জেলা কংগ্রেস সভাপতি মিল্টন রশিদ জানিয়েছেন, “আমি গত ২৮ শে মার্চ মোশারফ হোসেনকে প্রার্থী করার জন্য অনুমোদন দিয়েছিলাম। তিনি আমার কাছ থেকে চিঠি লিখিয়ে নিয়ে গেছেন। এখন এরপরেও যদি কেউ প্রার্থী ছিনিয়ে নেয় তাহলে কিছু করার নেই।”

[aaroporuntag]
চিকিৎসক মোশারফ হোসেন এবং তাদের পরিবার দীর্ঘদিন ধরেই কংগ্রেসী পরিবার বলেই পরিচিত। মোশারফ হোসেনের বাবা মোতাহার হোসেন কংগ্রেস আমলে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। আর তার আমলে এলাকায় বিপুল উন্নয়ন হয়েছে বলেও দাবি করে থাকেন অধিকাংশ মানুষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের পরিবারের যথেষ্ট মিথ রয়েছে এলাকায়। অন্যদিকে মুরারই বিধানসভায় কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই লক্ষ্য করা গেছে গত বিধানসভা নির্বাচনে। যেখানে কংগ্রেস প্রার্থী মাত্র ২৮০ ভোটে তৃণমূলের কাছে পরাজিত হয়।