নিজস্ব প্রতিবেদন : ১ জুন অর্থাৎ শনিবার ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফা ভোট গ্রহণ। আর এই শেষ দফা ভোটগ্রহণের আগে শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে একটি তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। যে তথ্য মূলত এবারের নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দল কতবার হেলিকপ্টার (Helicopter Used Election) ব্যবহারের জন্য আবেদন জানিয়েছিল আর কতবার অনুমতি পেয়েছে তা নিয়ে। আর এই তথ্যে রীতিমতো নতুন অধ্যায় লিখেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।
নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল হেলিকপ্টার ব্যবহারে কেবল এগিয়ে রয়েছে তা নয়, পাশাপাশি তাদের হেলিকপ্টার ব্যবহারের সংখ্যায় ধারে কাছে নেই বিজেপির মত সর্বভারতীয় একটি রাজনৈতিক দল। কংগ্রেস এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কথা না হয় ছেড়েই দেওয়া হল।
গত কয়েকটি নির্বাচন থেকেই দেখা যাচ্ছে প্রচারের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে হেলিকপ্টার। আর ভোট এলেই হেলিকপ্টার পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলির কপাল খুলছে। তবে এই বছর বাংলার ক্ষেত্রে যেভাবে তাদের কপাল খুলেছে তা অভাবনীয়। এই মুহূর্তে বাংলার দুই সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী দল তৃণমূল এবং বিজেপি প্রত্যেকেই বিপুল সংখ্যক হেলিকপ্টার রাইড ব্যবহার করেছে। তবে তৃণমূলের ব্যবহার করা হেলিকপ্টার রাইড বিজেপির তুলনায় কয়েক গুণ বেশি।
নির্বাচন কমিশন যে তথ্য প্রকাশ করেছে তা থেকে জানা যাচ্ছে, এবারের নির্বাচনে তৃণমূল হেলিকপ্টার ব্যবহারের জন্য ৬৭৬টি আবেদন জানিয়েছিল। বিপুল সংখ্যকেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তারা অনুমতি পেয়েছে ৫২১টির। বিজেপির তরফ থেকে হেলিকপ্টার ব্যবহারের জন্য ১৮৩টি আবেদন জানানো হয়েছিল। তাদের ১২৪টি আবেদন গৃহীত হয়েছে। হিসেব অনুযায়ী বিজেপির থেকে তৃণমূল প্রায় তিন গুণ বেশি আবেদন জানিয়েছিল এবং অনুমতি পেয়েছে বিজেপির থেকে ৪ গুণের বেশি।
বিজেপি ও তৃণমূল যেখানে শতাধিক আবেদন জানিয়েছিল এবং শতাধিক অনুমতি পেয়েছে হেলিকপ্টার ব্যবহারের, সেই জায়গায় কংগ্রেসের তরফ থেকে মাত্র দুটি আবেদন জানানো হয়েছিল এবং দুটি আবেদনই গৃহীত হয়েছে। অন্যদিকে প্রচারের তালিকায় নজর রাখলে দেখা যাবে, এই বছর পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বেশি প্রচার হয়েছে ভোটের। পশ্চিমবঙ্গে এক লক্ষের বেশি সভা, সমাবেশ ও মিছিলের মতো কর্মসূচি হয়েছে। আবার পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে এগিয়ে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর, যেখানে ১০ হাজার ৬৮৮টি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।