নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বের প্রতিটি পর্যটকদের সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করে যে সকল জায়গা তার মধ্যে তালিকায় প্রথম রয়েছে সমুদ্র সৈকত (Sea Beach) এবং পাহাড় (Hill Station)। তবে অধিকাংশ সময় সমুদ্র সৈকতগুলিতেই ভিড় জমাতে দেখা যায় পর্যটকদের। আবার সমুদ্র সৈকতের টানে বহু ভারতীয় পর্যটকদের বিদেশ ভ্রমণেও ছুটে যেতে দেখা যায়। কিন্তু অধিকাংশরাই জানেন না, ভারতে এমন ১০টি সমুদ্র সৈকত রয়েছে যেখানে একবার গেলে আর ফিরতে ইচ্ছে করবে না, যেসব জায়গায় যাওয়া মানে অল্প খরচে মালদ্বীপ সহ বিদেশের মত বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতের আনন্দ উপভোগ করা। বর্তমানে ট্রেন্ডিংয়ে থাকা লাক্ষাদ্বীপ ছাড়াও ১০টি সমুদ্র সৈকতের ঠিকানা আমরা আজ দিচ্ছি এই প্রতিবেদনে।
১) ভারতের জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকতগুলির মধ্যে একটি হল গুজরাতের শিবরাজ দ্বীপ। দেবভূমি দ্বারকার কাছে সমুদ্রবেষ্টিত এই দ্বীপ একবার গেলে ফিরতে ইচ্ছে করবে না। সুন্দর থেকে সুন্দরতম দ্বীপগুলির মধ্যে অন্যতম হলেও এই পর্যটন কেন্দ্রটি এতদিন পর্যটকদের চোখের আড়ালে ছিল। সম্প্রতি সরকারের তরফ থেকে এখানে উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কাজ করা হচ্ছে এবং পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু করে তোলা হচ্ছে। প্রশাসনের তরফ থেকে দাবি করা হয়, গোয়া সি-বিচের থেকে কোন অংশে কম নয় এখানকার এই সি-বিচ। এখানে স্কুবা ডাইভিং থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের বিনোদনের জিনিসপত্র রয়েছে।
২) ভারতে যে সকল দ্বীপ এবং সমুদ্র সৈকত রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো দিউ দ্বীপ। আরব সাগরের তীরে অবস্থিত এই দ্বীপটিতে পর্তুগিজ সাম্রাজ্য ছিল। যে কারণে এখনো পর্তুগিজদের সংস্কৃতি এখানে খুঁজে পাওয়া যায়। এখানে ঘুরতে এসে সমুদ্র সৈকত ছাড়াও দুর্গ মন্দির সহ বিভিন্ন জায়গা ঘোরার সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন ? Lakshadweep Liquor Rules: লাক্ষাদ্বীপে মদ খাওয়ার নিয়মে বিশাল কড়াকড়ি! না জানলে কেলেঙ্কারি
৩) তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের কাছেই রয়েছে উড়িষ্যার গোল্ডেন বিচ। ওড়িশা ঘুরতে গিয়ে অনেকেই পুরী ঘুরে বাড়ি চলে আসেন। কিন্তু হাতের কাছে থাকা এই গোল্ডেন বিচ অনেকেই ঘুরতে যান না। এখানে যতদূর চোখ যাবে শুধুই হলুদ বালির স্তুপ লক্ষ্য করা যায়। যে কারণে এই বিচ থেকে চোখ ফেরাতে ইচ্ছে করে না। যদিও এই বীচের তেমন জনপ্রিয়তা এখনো হয়ে ওঠেনি।
৪) তালিকায় আরও একটি সি বিচ হল কর্নাটকের কাসারকোড সৈকত। এই সমুদ্র সৈকত ব্লু ফ্ল্যাগ শংসাপত্র পেয়েছে। ভারতে যে সকল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সমুদ্র সৈকত রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সমুদ্র সৈকত হলো এটি।
৫) তালিকায় রয়েছে কর্ণাটকের আরও একটি সমুদ্র সৈকত পাদুবিদ্রি সমুদ্র। এই সমুদ্র সৈকত কর্নাটকের উদূপী জেলায় অবস্থিত। শান্ত পরিবেশের জন্য এই জায়গাটিও পর্যটকদের কাছে খুব জনপ্রিয়।
৬) বিশাখাপত্তনম থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে পূর্বঘাট পর্বতমালার ঢালে অবস্থিত জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত হল রুশিকোন্ডা। এখানকার সোনালী বালি আর সমুদ্রের নীল শুভ্র জল পর্যটকদের মন কাড়বেই। এই সমুদ্র সৈকত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সমুদ্র সৈকত হিসেবে বড় জায়গা করে নিয়েছে।
৭) নীল আকাশের নিচে নীল সমুদ্রের হাতছানি রয়েছে কেরলের কাপ্পাড বিচে। এখানকার এই সমুদ্র সৈকতটিও ব্লু ফ্ল্যাগ তকমা পেয়েছে। এখানকার এই সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য এতটাই যে পর্যটকরা গিয়ে আর ফিরে আসতে চান না। পাশাপাশি এই সমুদ্র সৈকতে গেলে বেশি খরচে বিদেশ যাওয়ার কথা মনে আনবেনই না।
৮) পন্ডিচেরিতে যে সকল সমুদ্র সৈকত রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো ইডেন বিচ। এই সমুদ্র সৈকত মহিলাদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়, কারণ মহিলাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তায় অন্য কোন সমুদ্র সৈকত এর ধারে কাছে আসে না। এই সমুদ্র সৈকত ব্লু ট্যাগ সার্টিফাইড।
৯) মনোরম দৃশ্যের জন্য যে সকল সমুদ্র সৈকত অন্যতম তাদের মধ্যে আরেকটি হলো তামিলনাড়ুর কোভালাম সমুদ্র সৈকত। এই সমুদ্র সৈকত কোভালং নামে পরিচিত। তামিলনাড়ুর চেন্নাই থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই সমুদ্র সৈকতে প্রচুর পরিমাণে পর্যটকরা ভিড় জমান।
১০) শুধু ভারত নয়, ভারতের পাশাপাশি এশিয়া এবং বিশ্বের সবচেয়ে মনোরম যে সকল সমুদ্র সৈকত রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো আন্দামানের রাধানগর সমুদ্র সৈকত। ভিড়ভাট্টা থেকে দূরে থাকা যে সকল পর্যটকরা পছন্দ করেন তারা অনেকেই এই সমুদ্র সৈকতে পৌঁছে যান। দেশের পাশাপাশি বিদেশের বহু পর্যটক এই সমুদ্র সৈকতে আসেন।