Lakshadweep Liquor Rules: লাক্ষাদ্বীপে মদ খাওয়ার নিয়মে বিশাল কড়াকড়ি! না জানলে কেলেঙ্কারি

নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ (Lakshadweep) ভ্রমণের পর থেকেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করেছে লাক্ষাদ্বীপের। লাক্ষাদ্বীপের এই জনপ্রিয়তাকে আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে দিয়েছে মালদ্বীপের সঙ্গে বিবাদ। পরিস্থিতি এখন এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে, ভারতীয়দের অধিকাংশ যারা মালদ্বীপ যাওয়ার প্ল্যান করছিলাম তারা এখন লাক্ষাদ্বীপ ট্যুর প্ল্যান করছেন।

লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলি পর্যটকদের অধিকাংশরাই জানেন না। যেমন এই দ্বীপটি ভারতের মধ্যে হলেও এখানে যাওয়ার জন্য অন্ততপক্ষে এক মাস আগে বিশাল পারমিট নিতে হয়। ঠিক সেইরকমই এখানে যারা ভ্রমণ করতে যান তাদের মদ খাওয়ার (Lakshadweep Liquor Rules) ক্ষেত্রেও রয়েছে বিশাল কড়াকড়ি। অনেকেই এই নিয়ম জানেন না, আর এই নিয়ম না জানলে কেলেঙ্কারিতে পড়তে হতে পারে।

আসলে পর্যটকরা যারা সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যান তাদের কাছে সমুদ্র সৈকতে বসে মদ খাওয়াটা একরকম রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু যারা লাক্ষাদ্বীপে যাওয়ার প্ল্যান করছেন তাদের জেনে রাখা দরকার, এই দ্বীপে সব জায়গায় মদ খাওয়া যায় না। লাক্ষাদ্বীপে মদ পান করার জন্য কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কিছু জায়গা রয়েছে, সেই সকল জায়গাতেই মদ পান করা যায়। নির্দিষ্ট ঐ সকল জায়গার বাইরে কোন পর্যটক মদ পান করলে প্রশাসনের তরফ থেকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

আরও পড়ুন 👉 Lakshadweep Permit: যাব বললেই যাওয়া হয়না, দেশের অংশ হলেও লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণে লাগে পারমিট, জানুন আবেদন পদ্ধতি

লাক্ষাদ্বীপে যে সকল জায়গায় মদ পান করার অনুমতি রয়েছে সেই সব জায়গাগুলি হল লাক্ষাদ্বীপের রাজধানী কাভারাত্তি এবং বাঙ্গারাম দ্বীপে। এই দুই দ্বীপে মদ পান করার অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি প্রশাসনের তরফ থেকে কিছু জায়গায় মদ বিক্রি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা লাক্ষাদ্বীপে মদ পান করতে পারেন না। লাক্ষাদ্বীপে নির্দিষ্ট করে দেওয়া ওই কিছু জায়গায় কেবলমাত্র পর্যটকরা এবং সরকারি আধিকারিকরা মদ পান করার অনুমতি পান।

জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে লাক্ষাদ্বীপ প্রশাসন এই নতুন আবগারি নীতি এনেছিল। যে আবগারি নীতির মধ্য দিয়ে এই নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় পর্যটক এবং সরকারি আধিকারিকদের মদ পান করার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু এই নীতি আসার পর স্থানীয় বাসিন্দারা নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। যদিও সেই প্রতিবাদ কিছুদিনের মধ্যেই থিতিয়ে গিয়েছিল।