Digha Hawker Eviction: বদলে যাচ্ছে দীঘার সমুদ্র পাড়, প্রশাসনের উদ্যোগে এবার আরও শান্তিতে ঘুরতে পারবেন পর্যটকরা

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : চারদিকে এখন পড়েছে তীব্র গরম। আর এই তীব্র গরমে যারা ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন তারা কোথায় যাবেন, সাগর নাকি পাহাড় তা নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন। গরমে পাহাড় যাওয়া অনেক আরামদায়ক হলেও বহু পর্যটক রয়েছেন যারা খরচের কথা মাথায় রেখে হাওয়া পরিবর্তন করতে সমুদ্রে পৌঁছে যাচ্ছেন। আবার এই সমুদ্রের কথা বলতে গেলে প্রথমে যার নাম আসে তা হল দীঘা (Digha)।

Advertisements

পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘা সমুদ্র সৈকত রাজ্যের মানুষদের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছেও খুব জনপ্রিয়। যে কারণে এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটকদের আগমন হয়ে থাকে। আর বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে এবার প্রশাসনের তরফ থেকে এমন একটি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে যার ফলে দীঘার সমুদ্র পাড়ে আগের থেকে অনেক শান্তিতে ঘুরতে পারবেন পর্যটকরা।

Advertisements

লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, পর্যটকদের আরও বেশি আনন্দ দেওয়ার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে দীঘার সমুদ্র পাড়কে খুব সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু এই সকল সমুদ্র পাড় এবং সমুদ্রপাড়ে থাকা ফুটপাত হকারদের দখলে চলে গিয়েছে। পরিস্থিতির দিন দিন যেদিকে এগোচ্ছে তাতে পর্যটকদের হেঁটে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাওয়াও মুশকিল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যে কারণে প্রশাসনের তরফ থেকে এবার এই সকল পর্যটকদের উচ্ছেদের (Digha Hawker Eviction) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং সেই মতো কাজ চালানো হচ্ছে।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Hotels in Digha: দিঘা হোক বা পুরি, সহজে সস্তায় মিলবে গেস্ট হাউস, বড় পরিকল্পনা বর্ধমান পৌরসভার

সামনেই স্কুল, কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গরমের ছুটি পড়ে যাবে। গরমের ছুটি পড়লেই দীঘায় পর্যটকদের সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে প্রশাসনের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে এবং তাদের লক্ষ্য রয়েছে গরমের ছুটি পড়ার আগেই দীঘার সমুদ্রপাড় হকার মুক্ত করে পর্যটকদের হাতে তুলে দেওয়া। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফ থেকে মাইকিং করে হকারদের অন্যত্র সরে যাওয়ার জন্য ঘোষণা করা হচ্ছে। এরপর যদি তারা না সরেন তাহলে অন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দীঘা ও শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছে, প্রশাসনের তালিকাভুক্ত না থাকা কোন দোকানদার যত্রতত্র তাদের পসরা নিয়ে বসে যেতে পারবেন না। পাশাপাশি পর্যটকদের যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেই কথা প্রত্যেক ব্যবসায়ীকেই মাথায় রাখতে হবে। প্রশাসনের তরফ থেকে নেওয়া এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন পর্যটকদের বড় অংশ। তাদের দাবি, এমনটা না হলে হাঁটাচলা করা তাদের পক্ষে চরম অসুবিধা হচ্ছিল।

Advertisements