Trai is planning to give subsidy on Internet: বর্তমানে ইন্টারনেট ছাড়া মানুষ এক মুহুর্ত বাঁচতে পারবে না। যেকোনো কাজেই আজকাল দরকার পরে ইন্টারনেটের। ইন্টারনেট এবং কলিং মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মতই হয়ে উঠেছে। ডেটা ছাড়া কেনাকাটা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অফিসের দরকারি কাজ কোনোটাই সম্ভব হয়না। এমনকি আপনি যদি সরকারি স্কিমগুলির সুবিধা পেতে চান কিংবা ডাক্তার এবং অ্যাম্বুলেন্স কল করতে চান সেক্ষেত্রে মোবাইল কলিং এবং ইন্টারনেটের প্রয়োজন হয়৷ তাহলে এই সুবিধাগুলো আপনি যদি বিনামূল্যে পান কি হবে (Subsidy on Internet)?
দেশের নাগরিকদের জন্য দুর্দান্ত খবর কারণ এমন অনেক সরকার আছে যারা তাদের দেশের নাগরিকদের বিনামূল্যে এবং ভর্তুকিযুক্ত ইন্টারনেট পরিষেবা দিয়ে থাকে। নাগরিকদের সুবিধার্থে বিশ্বের উন্নত দেশ আমেরিকা থেকে শুরু করে অনেকেই বিনামূল্যে ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করে থাকে। তবে আমেরিকায় একটি স্কিম আছে যার দ্বারা দরিদ্র পরিবারগুলিকে বিনামূল্যে ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়া হয় থাকে। এছাড়াও, নাগরিকদের আয় অনুযায়ী ইন্টারনেটে ভর্তুকি(Subsidy on Internet)পায় তারা। এই কারণে আমেরিকান নাগরিকদের কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়।
শুধু পাশ্চাত্যের দেশ নয় ভারতেও বিনামূল্যে পাওয়া যেতে পারে এই ইন্টারনেট ব্যবস্থা (Subsidy on Internet)। এই পদক্ষেপ নেবার জন্য ভারতের টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অর্থাৎ TRAI সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ভারত সরকার গরিব পরিবারগুলিতে বিনামূল্যে ইন্টারনেট দেবে। পাশাপাশি প্রত্যেক মানুষের উচ্চ গতির ইন্টারনেট পাওয়া উচিত। যদি এই ব্যবস্থা নিতে হয় তাহলে ভারত সরকারকে ন্যূনতম ইন্টারনেট গতি ২ এমবিপিএস ব্রডব্যান্ড গতিতে রাখার নিয়ম জারি করতে হবে।
কিন্তু আদৌ কি বাস্তবায়িত হবে এই পরিকল্পনা? এই ব্যাপারে ভারত সরকার কোনরকম পদক্ষেপ নেয়নি। বর্তমানে, টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি বা TRAI এর এই পরিকল্পনাটি আটকে রয়েছে। আমাদের দেশে বহুদিন ধরেই বিনামূল্যে এবং ভর্তুকি (Subsidy on Internet) নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে চলছে। দিল্লির এএপি এবং কংগ্রেস সরকার বহু রাজ্যে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ এবং জল সরবরাহ করছে, যার প্রভাব পড়েছে সরকারি কোষাগারে। আবার এমন কিছু রাজ্য আছে যেখানে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হচ্ছে।
আসলে TRAI হল ভারতের টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া অ্যাক্ট, ১৯৯৭ এর ধারা ৩ এর অধীনে ভারত সরকার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা৷ দেশের টেলিকমিউনিকেশন সেক্টরের নিয়ন্ত্রক হলো এটি। সরকারকে সুপারিশ করা হয়েছিল যাতে সমস্ত দরিদ্র পরিবারকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগে ২০০ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হয়। শুধু গ্রামীণ এলাকাতে এই ব্যবস্থায় করা হবে। তবে বেনিফিট ট্রান্সফার স্কিমের আওতায় এই সুবিধা পাবে দরিদ্র পরিবারগুলি। এর অর্থ হলো ইন্টারনেট ভর্তুকির টাকা সরাসরি মানুষের অ্যাকাউন্টে যাবে।