Rishikesh-Karnaprayag Rail Line: উত্তরাখণ্ডের লম্বা রেলওয়ে টানেলের কাজ জোরকদমে চলছে, সাত ঘন্টার যাত্রা পূরণ হবে দু’ঘণ্টাতেই

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Rishikesh-Karnaprayag Rail Line: বর্তমানে ভারতীয় রেল উন্নত পরিষেবা এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির দ্বারা তাক লাগিয়ে দিচ্ছে গোটা বিশ্বকে। প্রায় শেষের পথে ভারতের দীর্ঘতম রেলওয়ে টানেলের কাজ। বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেলওয়ে ব্রিজের পর এবার নির্মাণকার্য শেষ হচ্ছে দেশের দীর্ঘতম রেলওয়ে টানেলের। ভারতীয় রেল পরিকাঠামো দিক থেকে এক নতুন রেকর্ড গড়ে তুলল। সবচেয়ে দীর্ঘতম এই টানেল তৈরি হয়েছে উত্তরাখন্ডে। ঋষিকেশ থেকে কর্ণপ্রয়াগ পৌঁছে যাবেন চোখের পলকেই।

Advertisements

চারধাম যাত্রা করা এতদিন সত্যি কষ্টসাধ্য ছিল কিন্তু ভারতীয় রেলওয়ের এই উন্নত পরিষেবার দ্বারা খুব সহজেই সাধারণ মানুষ করতে পারবে চারধাম যাত্রা। উত্তরাখণ্ডে ঋষিকেশ থেকে কর্ণপ্রয়াগ পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের কাজ করছে ভারতীয় রেল। এই রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য ১২৫.২০ কিলোমিটার। টানেলের (Rishikesh-Karnaprayag Rail Line) মধ্য দিয়ে ইতিমধ্যেই পাতা হয়েছে ১০৫ কিলোমিটার লাইন। দেশের দীর্ঘতম রেলওয়ে টানেলের স্বীকৃতি লাভ করছে উত্তরাখন্ডের এই টানেল। সড়কপথে ঋষিকেশ থেকে কর্ণপ্রয়াগ পৌঁছতে সময় লাগে প্রায় ৭ ঘণ্টা। এই চ্যানেলটি একবার চালু হয়ে গেলে এই দূরত্ব অতিক্রম করা যাবে মাত্র ২ ঘন্টাতে।

Advertisements

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ১২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ট্র্যাকে মোট ১৭টি টানেল তৈরি করা হচ্ছে। মোট ১২টি স্টেশনের ওপর দিয়ে এটি যাবে। ট্র্যাকের সবচেয়ে দীর্ঘ টানেলটি ১৫.১ কিলোমিটার লম্বা। দেবপ্রয়াগ থেকে লছমোলি পর্যন্ত। এমনকি ৩৫ টি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে পাহাড়ি রাস্তা অতিক্রম করার জন্য। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে তৈরি করা হচ্ছে এই টানেল(Rishikesh-Karnaprayag Rail Line)। পরিবেশের যাতে কোনরকম ক্ষতি না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখা হয়েছে।

Advertisements

আরও পড়ুন:Station MasterStation Master: ভারতীয় রেলওয়েতে কি আর থাকবে না স্টেশন মাস্টার পদ? বদলে কোন পদ আনা হবে

রেলমন্ত্রক সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে প্রকল্পটির কাজ নিয়ে দীর্ঘ কথা বলেছে। ট্যুইটে করে বলেছে যে, স্টেশন এবং টানেল (Rishikesh-Karnaprayag Rail Line) তৈরির কাজ জোরকদমে চলছে। মোট ২১৩ কিলোমিটার পর্যন্ত টানেল তৈরি করা হবে। যার মধ্যে ১৭৬ কিলোমিটারের কাজ প্রায় শেষ। দ্রুতগতিতে শেষ হচ্ছে ১১ টি স্টেশন তৈরির কাজ। একবার এই টানেলটি নির্মাণ হয়ে গেলে শুধুমাত্র পর্যটনের ক্ষেত্রেই যে সুবিধা হবে তা নয় সাধারণ মানুষও যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা পাবে। এই টানেলের কারণে মোট পাঁচটি জেলার মানুষ উপকৃত হবে। দুই ভাগে টানেল তৈরি করছে ভারতীয় রেল। একটি হচ্ছে প্রধান টানেল। এখান দিয়ে ট্রেন চলাচল করবে।

দ্বিতীয় ভাগে তৈরি করা হচ্ছে সুরক্ষা টানেল। দ্বিতীয় ভাগের প্রধান কাজ হল জরুরি পরিস্থিতিতে যাত্রীদের নিরাপদে বের করে আনা । যদি দুটি টানেলকে যুক্ত করা যায় তাহলে প্রতি ৫০০ মিটার অন্তর তৈরি করা হচ্ছে ক্রস রোড। উত্তরাখণ্ডের কোন পাঁচটি জেলা উপকৃত হবে এই টানেলের দ্বারা? দেরাদুন, টেহরি গাড়ওয়াল, পৌড়ি গাড়ওয়াল, রুদ্রপ্রয়াগ এবং চামোলি জেলার বাসিন্দাদের যাতায়াত সহজ হয়ে যাবে। চারধাম যাত্রাও করা যাবে অনেক কম সময়ে।

Advertisements