নিজস্ব প্রতিবেদন : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) র্যাগিং কান্ড এখন শোরগোল ফেলে দিয়েছে দেশজুড়ে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে প্রথম বর্ষের বাংলা বিভাগের এক ছাত্রের। এই ঘটনাকে ঘিরে যেমন অভিভাবকদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে নানান আশঙ্কা, ঠিক সেই রকমই আবার উত্তাল হয়ে উঠছে রাজনৈতিক মহল। অভিযোগ এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের শাখা ছড়িয়ে দিতে চাইছে যাদবপুরে।
তবে এই সকল অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন ঘটনা সামনে এলো কবিগুরুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে (Visva Bharati University)। এবার এই বিশ্ববিদ্যালয়েও র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল। তবে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠলেও কোন ঘটনা ঘটে যাওয়ার আগেই বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা প্রশংসনীয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিচু বাংলো হোস্টেলের তিন ছাত্র শুভ সরকার, অঙ্কিত কুমার এবং মনিশ কুমারের বিরুদ্ধে হোস্টেলের অন্যান্য কয়েকজন আবাসিক র্যাগিংয়ের অভিযোগ আনেন। শুধু পড়ুয়া আবাসিকরা নন, পাশাপাশি একই অভিযোগ আনা হয় কয়েকজন অভিভাবকের তরফ থেকেও। আর এই সকল অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সোমবার সকালেই হোস্টেলে যান এবং সেখানে থাকা অভিযুক্ত তিনজনকে ডেকে পাঠান বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসে। তবে অভিযুক্ত তিনজন ছাত্রের মধ্যে একজন না থাকায় বাকি দুজন সেন্ট্রাল অফিসে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের হোস্টেল থেকে সমস্ত জিনিসপত্র সেন্ট্রাল অফিসে আনতে বলা হয়। সেই মতো তারা নিজেদের জিনিসপত্র নিয়ে সেন্ট্রাল অফিসে আসেন।
এরপরই ওই তিনজন অভিযুক্ত পড়ুয়ার মধ্যে সঙ্গে সঙ্গেই দুজনকে বহিষ্কার করা হয়। বাকি তৃতীয় ছাত্রের খোঁজ চালাচ্ছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যদিও এমন বহিষ্কারের বিষয়ে সোমবার রাত পর্যন্ত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোনরকম বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি অথবা বহিস্কৃত হওয়া পড়ুয়াদের তরফ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।