IPGMER and SSKM: র্যাগিং সমাজের একটি গুরুতর সমস্যা। দেশের ১৮টি মেডিক্যাল উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করল ইউজিসি। তালিকায় নাম রয়েছে কলকাতার ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (পিজি)। ইউজিসি অভিযোগ করেছে যে এই ১৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২০২৪ সালে তাদের পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের র্যাগিং বিরোধী বিবৃতি (অ্যান্টি র্যাগিং ডিক্লারেশন) ইউজিসিতে জমা দিতে উদ্যোগী হয়নি। এইজন্যই তাদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সত্যি ভাবা যাচ্ছে না ইউজিসির এই তালিকাতে রয়েছে পিজিআই-এর (IPGMER and SSKM) মতো প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। র্যাগিং এর মত গুরুতর সমস্যা সমাজে নানারকম ভয়ংকর কর্মকাণ্ডের সৃষ্টি করে। বহু ছাত্র-ছাত্রীর প্রাণ চলে যায় র্যাগিং এর মত ঘৃণ্য কাজের কারণে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এই র্যাগিং। এই আইনের মাধ্যমে র্যাগিং প্রতিরোধ ও নির্মূল করার চেষ্টা চালায় ইউজিসি।
সম্প্রতি ইউজিসি সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আরও এক বার ‘অ্যান্টি র্যাগিং অ্যাক্ট, ২০০৯’ মনে করিয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে। নোটিশ পাঠানোর পর শোকজ করা হয়েছে এই ১৮টি মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে। ইউজিসি সচিব মণীশ যোশীর সই করা নোটিশে বলা হয়েছে, যদি শোকজ এর উত্তর সন্তুষ্টজনক না হয় তাহলে ইউজিসি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: নিয়োগ শুরু হবে কেন্দ্রীয় সংস্থা ভারত পেট্রোলিয়ামে, চাকরিপ্রার্থীদের জন্য দুর্দান্ত খবর
সাধারণত ইউজিসি নিয়ম অনুসারে, ভর্তির পরে সংশ্লিষ্ট উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্দেশ মতো পড়ুয়াদের ইউজিসির নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে বিবৃতি দিতে হয়, এই বিবৃতিতে বলা হবে যে র্যাগিংয়ের সঙ্গে ভবিষ্যতে তারা কোনভাবে জড়িত থাকবেনা। এমনকি বিবৃতি দিতে হয় অভিভাবককেও। ইউজিসির নোটিশে দেখা যাচ্ছে, পিজির আসন সংখ্যা ২০০। কিন্তু ২০২৪ সালে একটিও ‘আন্ডারটেকিং’ জমা পড়েনি। উচ্চশিক্ষার এই ১৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজ, লখনউয়ের ডক্টর রাম মনোহর লোহিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেও।
পিজির (IPGMER and SSKM) এক কর্তা অবশ্য বলেছেন যে, অ্যান্টি র্যাগিং আন্ডারটেকিং-সহ সব তথ্যই সরাসরি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনকে পাঠানো হয়। ইউজিসি-র পক্ষ থেকে এমন কোন চিঠি তারা পায়নি। বিস্তারিতভাবে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে এই বিষয়ে। নোটিশের মাধ্যমে বলা হয়েছে যে, ইউজিসি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে এবং এই বিষয়ে তাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দিয়েছে। ইউজিসি আশা রাখছে যে তাদের এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশের একাধিক উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলোতে একটি নিরাপদ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হবে। শিক্ষার্থীরা যাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কোনরকম ভয় বা হয়রানি ছাড়াই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সেই ব্যবস্থায় নেওয়া দরকার।