Unique Picnic Spots: সামনেই আসছে বড়দিন। আর তারপরেই নিউ ইয়ার। এই দিনগুলি মানে পরিবারের সাথে, বন্ধুদের সাথে কোথাও গিয়ে পিকনিক করা। শীত মানেই পিকনিক, ঘোরাফেরা ও জমিয়ে খাওয়াদাওয়া। আর পিকনিক স্পটে উপচে পড়ে লোকের ভিড়। কিন্তু আপনি যদি ভিড় পেরিয়ে নির্জন কোথাও কাছের মানুষের সাথে বা পরিবারের সাথে নিরিবিলিতে পিকনিক (Unique Picnic Spots) করতে চান তবে আজকের প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আজ বলবো ঝাড়গ্রাম থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটারের দূরত্বে কংসাবতী নদীর কথা। কংসাবতী নদী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ছোট নাগপুর মালভূমি থেকে উঠে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মধ্য দিয়ে গেছে। এই নদীর জল পুরুলিয়া জেলার ছোট নাগপুর মালভূমিতে, ঝালদা শহরের কাছে, যেখানে ছোট নদী সাহারঝোর এবং গিরিগিরি একসাথে মিলিত হয়েছে। সেখান থেকে পুরুলিয়া, খাতরা ও রানিবাঁধ শহর পেরিয়ে বাঁকুড়া জেলার মধ্যে দিয়ে গেছে। বিনপুরে এটি ভৈরববাঙ্কির সাথে মিলিত হয়েছে এবং কেশপুরে নদীটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে।
আরো পড়ুন: শীতের ছুটিতে ভিড়ভাট্টা এড়িয়ে উত্তরবঙ্গের তিনধুরে, নিরিবিলি পাহাড়ি গ্রাম যা আপনার হৃদয় জয় করবে
উত্তর শাখাটি দাসপুর এলাকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে, যেখানে এটি পলাশপাই খাল নামে পরিচিত। এই শাখাটি অবশেষে রূপনারায়ণ নদীতে প্রবাহিত হয়। অন্য শাখাটি, যাকে এখনও কংসাবতী বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়। অবশেষে, এটি কেলেঘাই নদীর সাথে মিলিত হয় এবং দুটির সংযোগস্থল হলদী নদী গঠন করে, যা হলদিয়ায় বঙ্গোপসাগরে প্রবাহিত হয়। এই কংসাবতী নদীর সবচাইতে বিখ্যাত পিকনিক স্পটটি (Unique Picnic Spots) হলো সাতপাটি।
আরো পড়ুন: দিঘা, মন্দারমণি এখন অতীত, নিরিবিলিতে সময় কাঁটানোর সেরা ঠিকানা এই সমুদ্র সৈকত
২০১১ সালের আদমশুমারি তথ্য অনুসারে সাতপাটি গ্রামের অবস্থান কোড বা গ্রামের কোড হল ৩৩৯৫৯১। সাতপাটি গ্রামটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঝাড়গ্রাম মহকুমার মধ্যে অবস্থিত। মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম যথাক্রমে সাতপাটি গ্রামের জেলা ও উপ-জেলা সদর। ২০০৯ সালের পরিসংখ্যান অনুসারে, বাঁধগোড়া হল সাতপাটি গ্রামের গ্রাম পঞ্চায়েত। ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান অনুসারে, সাতপাটি গ্রাম ঝাড়গ্রাম বিধানসভা ও সংসদীয় কেন্দ্রের অধীনে আসে। সমস্ত বড় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য ঝাড়গ্রাম সাতপাটি গ্রামের নিকটতম শহর, যা প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে।
শীতের সময় কংসাবতী নদীর পাড় দিয়ে সোনাঝুরির বাগান গড়ে ওঠে। আর দূর দুরান্ত থেকে পর্যটকেরা ভ্রমণের জন্য বা মানুষজন পিকনিকের জন্য এই বাগানকেই বেছে নেন। তার কারণ এখানে প্রকৃতি যেন অবলীলায় খেলা করছে। এছাড়া নৌকা চড়ে নদীর ভ্রমণের সুবিধা আছে। তাই এবার শীতে যদি স্বাদ বদলাতে চান তবে অবশ্যই পিকনিকের (Unique Picnic Spots) জন্য বেছে নিতে পারেন আমাদের প্রতিবেদনে উল্লিখিত জায়গাগুলি।