Vande Bharat Express also has royal amenities similar to Maharaja Express: ভারতীয় রেল বর্তমানে উন্নতির শিখরে পৌঁছে গেছে। তারই সবথেকে বড় উদাহরণ হলো বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। এই ট্রেনে আরো সুযোগ সুবিধা বাড়াতে চলেছে রেল কর্তৃপক্ষ। সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হলো ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ভারতের রাজকীয় ট্রেন প্যালেস অন হুইলস এবং মহারাজা এক্সপ্রেসের মতো পরিষেবা দেওয়া হবে বন্দে ভারতে। এতে বন্দে ভারত ট্রেনগুলিতে হাউসকিপিং, ক্যাটারিং পরিষেবা আরও উন্নত হবে। যাত্রীসেবার ‘কমান্ড’ হস্তান্তর করা হবে একটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের পেশাদার ক্যাটারিং কোম্পানির কাছে। অন্যান্য উন্নতশীল দেশের মতো ভারতও এখন পরিবহনের দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা করা হয়েছে গেছে রেলওয়ে বোর্ড এর তরফ থেকে, গত ২৩ নভেম্বর একটি নতুন ‘যাত্রী পরিষেবা চুক্তি’ জারি করা হয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার জন্যই রেল এই নয়া পাইলট প্রজেক্ট আনতে চলেছে। বন্দে ভারতের (Vande Bharat Express) ৬টি রুটে প্রথমে চালু হবে এই প্রকল্প। এই বদল যাত্রীদের পক্ষে অনেকটাই সুবিধাজনক। এই পরিবর্তন আসতে চলেছে দক্ষিণ রেল জোনের ৬টি রুটে।
আজকের প্রতিবেদনে আপনি জানতে পারবেন এই সম্পর্কে বিস্তারিত। এই ট্রেনে (Vande Bharat Express) বিমানের বিজনেস ক্লাসের মতোই যাত্রীদের জন্য ‘এক্সক্লুসিভ মেনু’র বিকল্প থাকবে। যাত্রীরা নিজেদের পছন্দমতো খাবার অর্ডার করতে পারবে। সঙ্গে থাকবে ঠান্ডা ও গরম পানীয়র বিকল্পও। মনে করা হচ্ছে, যাত্রীরা এতে লাভবান হবেন। যাত্রীদের ভ্রমণের জন্য যা যা প্রয়োজন তাও তাদের হতে তুলে দেবে রেল।
আপনারা নিশ্চয়ই দেখে থাকবেন যে, আন্তর্জাতিক উড়ানের সময় বড় বড় সংস্থাগুলি যাত্রীদের এক ধরনের কিট দিয়ে থাকে। এরমধ্যে থাকে প্রসাধনী, স্লিপার, এমনকি গাউন। তবে বন্দে ভারতের (Vande Bharat Express) ক্ষেত্রে এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি। বন্দে ভারতের যাত্রীরা স্টেশনে পৌঁছতে এবং গন্তব্যে পৌঁছে রেলের তরফ থেকেই ক্যাবের সুবিধা পেতে পারেন। এছাড়া কোনও যাত্রী যদি স্টেশনে পৌঁছে হুইলচেয়ারে চেপে ট্রেন পর্যন্ত যেতে চান, বা গন্তব্যে পৌঁছে হুইলচেয়ারে করে ট্রেন থেকে স্টেশনের বাইরে আসতে চান, তাও ব্যবস্থা করে দেবে রেল কর্তৃপক্ষ। বিমানের মত বন্দেভারতেও একই পরিষেবা পাওয়া যাবে। সাথে থাকবে যাত্রীদের জন্য ইনফোটেনমেন্টের আয়োজন।
ট্রেনটিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার সমস্ত রকম দায়িত্ব নেবে রেল কর্তৃপক্ষ। তাই পাইলট প্রোজেক্টের অধীনে প্রতিটি কামরার জন্য একজন করে হাউজকিপিং স্টাফ নিয়োগ করা হবে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা বা অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ লোকাল সেলফ গভার্নমেন্টের আওতায় থাকবে। এই কাজে শুধুমাত্র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হাউজকিপার রাখবে ভারতীয় রেল। এবার আমরা জেনে নেব কোন কোন রুটে এই পরিষেবা পাওয়া যাবে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে – চেন্নাই-মাইসোর, চেন্নাই-তিরুনেলভেলি, চেন্নাই-কোয়াম্বাটুর, তিরুবনন্তপুরম-কাসারগোড়, চেন্নাই-বিজয়ওয়াড়া রুটে এই পরিষেবা চালু হবে পরীক্ষামূলক ভাবে। এদিকে ষষ্ঠ কোন রুটে এই প্রকল্প চালু হবে, সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।