নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতি সম্পন্ন সেমি হাই স্পিড ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিয়ে মানুষের মধ্যে আশা প্রত্যাশার শেষ নেই। এই বন্দে ভারত ট্রেনের বাংলায় প্রথম সূচনা হওয়ার ঘোষণার দিন থেকেই উৎকণ্ঠাই পার হচ্ছিল বন্দে ভারতপ্রেমীদের সময়। কবে চালু হবে? কত টাকা ভাড়া? কি কি ব্যবস্থাপনা রয়েছে? খাবারদাবার কি রয়েছে? ইত্যাদিই জানতেই ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় তাদের।
এসবের পর যখন এই ট্রেনের সূচনা হয় গত ৩০ ডিসেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার, যখন থেকে টিকিট বুকিং দেওয়া শুরু হয় তখন থেকেই উপচে পড়তে থাকে যাত্রীদের ভিড়। শুভ যাত্রার প্রথম দিনেই যেভাবে এই ট্রেনে খাওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরিষেবা দেওয়া হয় তাতে বন্দে ভারত যাত্রীদের কাছে বন্দনা হয়ে দাঁড়ায়। তবে সেই বন্দনা আর বন্দে ভারত নিয়ে মোহভঙ্গ হতে সময় নিল মাত্র কয়েক ঘন্টা।
শুক্রবার ট্রেনটির উদ্বোধন হলেও বাণিজ্যিকভাবে ট্রেনটির পথচলা শুরু হয় ১ জানুয়ারি অর্থাৎ রবিবার। বাণিজ্যিকভাবে পথ চলা শুরু হতেই রবিবার ঘড়ির কাটায় সকাল ৫:৫৫ মিনিটে হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। দুপুর দেড়টা নাগাদ ট্রেনটি পৌঁছায় নিউ জলপাইগুড়িতে। সেখানে কিছু সময় থাকার পর ট্রেনটি হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় নির্ধারিত সময়ের জন্য।
তবে প্রথম দিনের বাণিজ্যিক সফরের পর ট্রেনের বড় অংশের যাত্রীদের তরফ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় ট্রেনের বিভিন্ন পরিসেবা নিয়ে। সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ দেখা যায় মূলত খাবার নিয়ে। যাত্রীরা মূলত চিকেন খুব শক্ত ছিল বলে দাবি করেন এবং তা বয়স্ক মানুষদের পক্ষে খাওয়া খুব কষ্টকর হবে বলে জানান। এছাড়াও খাবার ছিল ঠান্ডা।
শুধু খাবার ঠান্ডা ছিল অথবা চিকেন শক্ত ছিল এমন নয়, এর পাশাপাশি যাত্রীদের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, প্রিমিয়াম ট্রেনে যেভাবে খাবারের গুণগত মান থাকে সেই গুণগত মান নেই। খাবারের স্বাদ খুব খারাপ বলে দাবি করা হয়েছে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের রবিবার ফেরার পথে যে খাবার দেওয়া হয় সেই খাবারের মান ছিল খুবই খারাপ।