রাজ্যপাল থেকে উপরাষ্ট্রপতি, জগদীপ ধনখড়ের বেতন কত বাড়লো

নিজস্ব প্রতিবেদন : উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়লাভের পর দেশের ১৪ তম উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হলেন জগদীপ ধনখড়। মার্গারেট আলভাকে তিনি ৩৪৬ ভোটে পরাজিত করেছেন। এই জয়ের মধ্য দিয়ে তিনি দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে বসলেন। রাজস্থানের একটি অখ্যাত গ্রাম থেকে উঠে আসা জগদীপ ধনখড় ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। তবে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মাত্র তিন বছরের মধ্যে তিনি উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করলেন।

রাজ্যপাল থাকাকালীন তিনি যে সকল সরকারি সুবিধা পেতেন উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার পর সেই সকল সরকারি সুবিধা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেল। এর পাশাপাশি বৃদ্ধি পেয়েছে তার বেতনও। রাজ্যপাল হিসেবে থাকাকালীন জগদীপ ধনখড় মাসিক সাড়ে তিন লক্ষ টাকা বেতন পেতেন। উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর তার এই বেতন আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।

স্যালারিজ অ্যান্ড অ্যালাওয়েন্স অব পার্লামেন্ট অফিসার্স অ্যাক্ট, ১৯৫৩ অনুসারে উপরাষ্ট্রপতির বেতন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। সেই অনুসারে এবার তার মাসিক বেতন হচ্ছে চার লক্ষ টাকা। বেতন বৃদ্ধির পাশাপাশি উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে জগদীপ ধনখড়ের অনেক সরকারি সুবিধা বৃদ্ধি পেল। উপরাষ্ট্রপতির জন্য দৈনিক বিভিন্ন ধরনের ভাতা থাকে।

এছাড়াও তিনি ট্রেনে এবং বিমানে বিনামূল্যে সফর করতে পারবেন। মোবাইল খরচ থেকে শুরু করে ল্যান্ডলাইন খরচ সমস্ত কিছু পাবেন বিনামূল্যে। এছাড়াও থাকছে তার নিজস্ব নিরাপত্তা রক্ষী। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর তার বর্তমান ঠিকানা হল দিল্লির উপরাষ্ট্রপতি ভবন। নতুন দিল্লির মৌলানা আজাদ রোডে রয়েছে এই ভবন। ৬.৪৮ একর জায়গায় ১৯৬২ সালের মে মাস থেকে এটিই হল উপরাষ্ট্রপতির বাসভবন।

জগদীপ ধনখড় ১৯৫১ সালে রাজস্থানের কিথানা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। পেশায় আইনজীবী হিসাবে রাজস্থানের হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস করেছেন। পরে রাজনীতিতে যোগ দিলে বিভিন্ন পিভি নরহিংসরাও-এর সময়ে তিনি কংগ্রেসের যোগ দিয়েছিলেন এবং পরে রাজস্থানে অশোক গেহলতের উত্থানের পর বিজেপি শিবিরে নাম লেখান। এরপর ২০১৯ সালের জুলাই মাসে তিনি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হন এবং ২০২২ সালের আগস্ট মাসে তিনি হলেন দেশের উপরাষ্ট্রপতি।