Bajaj Chetak: বর্তমানে জ্বালানিচালিত দুই চাকার পরিবর্তে সকলেই ইলেকট্রিক টু হুইলারের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে। কিন্তু যদি এই ইলেকট্রিক স্কুটার থেকেও বিপদের আশঙ্কা থাকে তাহলে কি হবে? সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও চিন্তায় ফেলেছে সকলকে। ছত্রপতি শম্ভাজিনগরে বাজাজ চেতক ইলেকট্রিক স্কুটার থেকে ধোঁয়া বের হওয়ার একটি ভিডিও রীতিমতো চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও। ঘটনাটি ঘটার পর নড়ে চড়ে বসেছে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় টু-হুইলার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাজাজ অটো। তাদের বক্তব্য অনুসারে বিষয়টির বিস্তারিতভাবে তদন্ত করা হবে। ভাইরাল ভিডিওটি এক ব্যবহারকারী এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ পোস্ট করেন। সেখান থেকে জানা যায় যে, জলনা রোডের একটি ব্যস্ত ট্রাফিক সিগন্যালে একটি বাজাজ চেতক মডেলের স্কুটার থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গেছে যে, যখনই ধোঁয়া বের হওয়ার খবর সামনে এসেছে তখনই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছে ফায়ার ব্রিগেড। তারা দ্রুত কাজ শুরু করে দিয়েছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে যে, বরবন্দি গ্রামের দুই কৃষক, ভগবান চবন এবং রবীন্দ্র চবন, জল পাইপ কেনার জন্য ছত্রপতি শম্ভাজিনগরে এসেছিলেন। যখন তারা ট্রাফিক সিগন্যালে অপেক্ষা করছিল লক্ষ্য করে যে, তাদের বাজাজ চেতক(Bajaj Chetak) ইলেকট্রিক স্কুটার থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।
এক মুহূর্ত দেরি না করে তারা স্কুটারটি রাস্তার পাশে সরিয়ে নেন। ঘটনাস্থলে ডাকা হয় সেভেন হিলস ফায়ার স্টেশন থেকে একটি ফায়ার ব্রিগেড দলকে। দলটি স্কুটারে (Bajaj Chetak) জল স্প্রে করার পর ধোঁয়া বন্ধ হয়। সোশ্যাল মিডিয়াতে যখনই এই ঘটনাটির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তখন থেকেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ভারতের অন্যতম টু হুইলার কোম্পানি বাজাজ অটোর কলাকে। বিষয়টি নিয়ে তারা সক্রিয় হয় এবং একটি আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করে।
আরও পড়ুন:Viral Video: রাস্তায় বায়োডেটা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে তরুণী, তাতে পাত্র চাই লিখে দিলেন জোড়া শর্ত
বাজাজ অটোর (Bajaj Chetak) একজন মুখপাত্র বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়েছে যে, সদ্য ঘটে যাওয়া থার্মাল ইনসিডেন্ট সম্পর্কে তারা অবহিত। তবে বিষয়টি সম্পর্কে তদন্ত শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। কেন স্কুটার থেকে ধোঁয়া বের হলো সে বিষয়ে এখনো জানা যায়নি। বাজাজ চেতক (Bajaj Chetak) ইলেকট্রিক স্কুটার থেকে ধোঁয়া ওঠার ঘটনাটি ইলেকট্রিক গাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। আবার পেট্রোল বা ডিজেলচালিত অভ্যন্তরীণ দহন ইঞ্জিন (ICE) গাড়ি বছরের পর বছর ধরে আগুনের ঝুঁকির জন্য পরিচিত। তবে বর্তমানে ইলেকট্রিক স্কুটার কিংবা বাইক কোনটাই সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ নয়।
This Should not happen to any EV !#BajajChetakEV #Bajaj #Chetak pic.twitter.com/CqjZvoyTh7
— The MotorOLA Man (@patel_grv) December 7, 2024
ইলেকট্রিক যানবাহনে সাধারণত প্রপালশন এনার্জি হিসেবে উচ্চ ভোল্টেজের ব্যাটারি সেল ব্যবহৃত হয়। এই সেল কিন্তু দাহ্য রাসায়নিক বহন করে এবং ক্ষেত্র বিশেষে ইলেকট্রিক গাড়িতেও আগুন লাগার সম্ভাবনা থাকে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বহু রিপোর্ট এমন এসেছে যে, একাধিক ইলেকট্রিক গাড়ি এবং টু-হুইলারে আগুন লেগেছে। তবে গাড়ি প্রস্তুতকারী বিভিন্ন সংস্থাগুলো নতুন ব্যাটারির প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। এগুলো তুলনামূলকভাবে নিরাপদ ও থার্মাল ঘটনার ঝুঁকি কমানোর প্রতিশ্রুতি দেয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাজাজ অটো থেকে শুরু করে অন্যান্য একাধিক টু হুইলার নির্মাণকারী সংস্থাগুলোর ওপর ইলেকট্রিক যানবাহনের নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি অনেকাংশে বৃদ্ধি পাচ্ছে।