Video Viral Due to the father brought his daughter home back by playing drum after divorce: ডিভোর্সের পর ঢাকঢোল পিটিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হচ্ছে মেয়েকে। এমনই একটি ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে। যৌতুকের দাবিতে শ্বশুড়বাড়ির লোকের কাছে নিগ্রহের শিকার হচ্ছিলেন একটি মেয়ে। এই ঘটনার প্রতিবাদে স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে সম্পর্ক ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। মেয়ের সিদ্ধান্তে পাশে ছিলেন বাবা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। ডিভোর্সের পর ঢাকঢোল পিটিয়ে আনন্দ করতে করতে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসেন মেয়েকে।
ঘটনাটি ঘটেছে কানপুরে। সেখানকার বাসিন্দা অনিল কুমার একসময় বিএসএনএল -এ চাকরি করতেন। বর্তমানে তিনি অবসর নিয়েছেন। তার একমাত্র মেয়ে উরভি। ২০১৬ সালের ৩১ শে জানুয়ারি আশিষ রঞ্জন নামের এক যুবকের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় উরভি। স্বামী, স্ত্রী দুজনেই পেশায় ইঞ্জিনিয়ার এবং দিল্লিতে কর্মরত। বিয়ের পর থেকে উরভির কাছে যৌতুকের দাবি করতে থাকেন তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। যৌতুক না পাওয়ায় তার রূপ নিয়ে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তারা। এই নিয়ে অশান্তি লেগেই থাকতো।
২০১৯ সালে এই দম্পতির একটি কন্যা সন্তান হয়। কিন্তু উরভির শ্বশুরবাড়ির লোকজন পুত্র সন্তান চেয়েছিলেন। তাই কন্যা সন্তান হওয়ায়, তা নিয়েও একাধিক গঞ্জনা সহ্য করতে হয় উরভিকে। সম্প্রতি অনিল কুমার মেয়ে উরভির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে দিল্লিতে একটি ফ্ল্যাট কেনেন। কিন্তু জামাই আশিষ রঞ্জন ফ্লাইটটি নিজের নামে করে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। এরপর স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব এতটাই বেড়ে যায়, যে তারা আলাদা থাকতে শুরু করেন। তারা বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেছিলেন, কিছুদিন আগেই তাদের ডিভোর্স সুসম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন ? Aparajita Adhya: রাত হতেই বদলে গেলেন ‘লক্ষ্মী কাকিমা’! ভাইরাল অপরাজিতার নতুন ধিনচাক রূপ
উরভির এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে তার পাশে ছিলেন তার বাবা ও অন্যান্য পরিবারবর্গ। ডিভোর্সের পর আনন্দের সাথে হইচই করে উরভিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন তার বাড়ির লোক। এই ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়ার সাথে সাথেই ভাইরাল (Viral Video) হয়ে গিয়েছে। ডিভোর্সের পর উরভির পরিবারের সদস্যরা সবাই মিলে পৌঁছে যান, তার শ্বশুরবাড়িতে। সেখান থেকে ঢাকঢোল পিটিয়ে আনন্দ করতে করতে উরভিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন নিজের বাড়িতে। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর বেশিরভাগ লোকই প্রশংসা করেছেন ঘটনাটির। পরিবারের এই সমর্থন উরভিকে অনেকটা সাহস যুগিয়েছে।
#kanpur में पिता अपनी बेटी को ढोल नगाड़े के साथ ससुराल से वापस मायके लेकर आया,दहेज और बेटी को जन्म देने के बाद तानो से त्रस्त पीड़िता ने पति तलाक लेने के बाद ससुराल के गेट पर वो चुनरी बांध दी,जिसे शादी के बाद पहनकर वो ससुराल पहुंची थी @ABPNews pic.twitter.com/LJRbL6l2uP
— Neeraj @wasthi?? (@awasthijsk) April 30, 2024
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার (Viral Video) প্রশংসা যেমন হচ্ছে কিছু মানুষ এর নিন্দাও করেছেন। অনেকের মতে যৌতুক একটা বাহানা মাত্র, স্বামীকে মা-বাবার থেকে আলাদা রাখতে চাওয়ার কারণেই যত অশান্তির সৃষ্টি হয়। তবে, এই সমস্ত কটুক্তিকে তোয়াক্কা করছেন না উরভি বা তার পরিবার। উরভি জানিয়েছেন, তিনি আট বছর সংসার করেছেন। এই ৮ বছরে তাকে নানা রকম কটুক্তি, অত্যাচার, অপমান সহ্য করতে হয়েছে। এমনকি মারধর করতেও ছাড়েনি শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এতো সবকিছুর পরে তিনি ভেঙে পড়েছিলেন। তাই ডিভোর্সের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।