Visit the paradise state of Fikkalay Gaon this summer vacation: পাহাড় আর তিস্তায় ঘেরা প্রকৃতির সৌন্দর্যে ভরা ছোট্ট একটি গ্রাম। জীবনের সব তাড়া যেন এখানে এসেই শান্ত হয়ে যায়। দার্জিলিং ও কালিম্পং থেকে খুব কাছে অবস্থিত ছোট্ট শান্ত এই গ্রামটির নাম ফিক্কালে গ্রাম (Fikkalay Gaon)। আপনি চাইলেই এই গ্রামে থেকেও দার্জিলিং কালিম্পং ঘুরে আসতে পারবেন। নতুন একটি অচেনা জায়গায় থাকার পাশাপাশি বহু পরিচিত দার্জিলিং কালিম্পং ঘুরে আসার স্বাদও একসাথেই পেতে পারবেন পর্যটকরা।
কি আছে এই গ্রামে (Fikkalay Gaon)? ডেলু পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথ আর নিচে সুন্দরী তিস্তা। শান্ত পরিবেশে সময় কাটাতে চাইলে এই গ্রামটি আপনার জন্য একদম সঠিক ঠিকানা। এখানে আছে ভিউ পয়েন্ট, মানিস্ট্রি, গুম্ফা ইত্যাদি। চাইলে কালিম্পং সায়েন্স সেন্টারটিও ঘুরে আসতে পারেন এই গ্রাম থেকেই। ভাগ্য আর প্রকৃতি দুটোই যদি আপনার সহায় হয়, তাহলে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য দর্শন করার সৌভাগ্য হওয়াও একেবারে অসম্ভব নয়। মোটের উপর অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এই গ্রাম আপনাকে মুগ্ধ করবেই।
দার্জিলিং থেকে ফিক্কালে গ্রামের (Fikkalay Gaon) দূরত্ব মাত্র ৫১ কিলোমিটার আর কালিম্পং থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার। তাই আপনি যদি ভাবেন ফিক্কালে গ্রামে থেকে একদিন দার্জিলিং কিংবা কালিম্পং যাবেন, তা কিন্তু একেবারে অমূলক নয়। সকাল সকাল বেরোলে দার্জিলিং কিংবা কালিম্পং ঘুরে সন্ধ্যের মধ্যে আবার ফিরে আসতে পারবেন গ্রামে। মাত্র ২ থেকে ২.৩০ ঘন্টার পথ। অচেনা নতুন এই গ্রামের সৌন্দর্য উপভোগ করাও হবে আবার টুক করে চেনা জায়গায় ঘুরে আসার সাধও মিটবে।
মুগ্ধ করা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তো রইলই। কিন্তু, এর পাশাপাশি রয়েছে প্যারাগ্লাইডিং এর সুবিধা। আপনি চাইলে ডেলু পাহাড় থেকে প্যারাগ্লাইডিং এর আনন্দ উপভোগ করতে পারেন। এখানে মূলত ২ রকমভাবে প্যারাগ্লাইডিং করানো হয়। ৩০ মিনিটের হাইফ্লাই অথবা ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মিডিয়াম ফ্লাই। আপনার সারা জীবনের স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থাকতে পারে প্যারাগ্লাইডিং এর অভিজ্ঞতা। খরচ কত? বাঙালি তো দরদাম করবেই, তাই খরচটা না হয় ওখানে গিয়েই ঠিক করা যাবে।
কি ভাবছেন? কিভাবে যাবেন এই গ্রামে ? চলুন সেই রাস্তাও আপনাকে বলে দি। এই গ্রামে পৌঁছানো খুবই সহজ। নিউ জলপাইগুড়ি কিম্বা শিলিগুড়ি যে কোন একটি জায়গা থেকে যাওয়া যায় এই গ্রামটিতে (Fikkalay Gaon)। গাড়ি করে মাত্র ২.৩০ থেকে ৩ ঘন্টার পথ পেরোলেই আপনি পৌঁছে যাবেন গ্রামে। আর থাকার ব্যবস্থা? ডিজিটাল ইন্ডিয়ার যুগে একটু নেট সার্চ করলেই খোঁজ পাওয়া যাবে একাধিক হোমস্টের। তাই সেই চিন্তাও আর নেই পর্যটকদের।