নিজস্ব প্রতিবেদন : গত ২২ দিন ধরে ভারতে চলছে লকডাউন। আর এই লকডাউন চলাকালীনও ভারতে বেড়েছে করোনা সংক্রামিতদের সংখ্যা। যে কারণে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে দেন ৩রা মে পর্যন্ত। দ্বিতীয় দফার এই লকডাউন মেনে চলার জন্য সকলকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে বেশকিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। আর এই সকল নির্দেশিকার মধ্যেই রয়েছে লকডাউন চলাকালীন মদ বিক্রিতে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা।
লকডাউন চলাকালীন মদ বিক্রি নিয়ে দেশজুড়ে প্রথম থেকে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়। সূরা প্রেমী মানুষেরা পাঞ্জাব ও কেরলের মত মদের হোম ডেলিভারি চাইতে থাকে। এদিকে আসাম ও মেঘালয়েও চালু হয় মদ বিক্রি। তবে আসামে মদ বিক্রি শুরু হওয়ার সাথে সাথেই দেখা যায় বিশৃঙ্খলা। সবাই সামাজিক দূরত্ব না মেনে মদের টানে ছুটতে থাকেন। আর ঠিক এমন টালবাহানার মুহূর্তে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে নির্দেশিকা জারি করে বুধবার স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় লকডাউন চলাকালীন কোন মতেই মদ বিক্রি করা যাবে না। আগেও যদি সূরা প্রেমীদের মধ্যে কিছুটা আশার আলো ছিল তবে এই ঘোষণার পর তা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে যায়।
অন্যদিকে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই মদের দোকান বন্ধ হয়ে যায়, আর মাঝে মাঝে যদিবা কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল তাও আবার চড়া দামে, ব্ল্যাকে। আর প্রশাসনও এই কালোবাজারি বন্ধ করতে তৎপর। যে কারণে মদ বিক্রি একেবারেই বন্ধ। আর এর সাথে সাথেই গুগলে ভারতীয়রা সার্চিং করতে শুরু করে ‘কিভাবে বাড়িতে মদ বানানো?’ আর এই সম্পর্কিত সার্চিং এখন গুগলে ট্রেন্ডিং। শুধু সার্চিং নয় অনেকে আবার বাড়িতে মদ তৈরী করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। আর বাড়িতে তৈরি মদ খেয়ে গত সপ্তাহে উত্তরপ্রদেশে দুজন মারা গেছেন, হাসপাতালে ভর্তি আরও পাঁচজন। যা নিয়ে রীতিমতো ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে। আর এমন অদ্ভুত প্রশ্নের খেলায় চাপে স্বয়ং গুগলও।