নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যজুড়ে বিপুল সংখ্যক যানবাহন থাকলেও সেই সকল যানবাহনের রোড ট্যাক্স (Road Tax) বাকির পরিমাণ কোটি কোটি টাকা। এই কোটি কোটি টাকা আদায় হলে রাজ্য সরকারের রাজস্ব অনেকটাই ভরপুর হবে। যে কারণে গত জানুয়ারি মাসে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে গাড়ির মালিকদের সুখবর দিয়ে একটি অফার দেওয়া হয়েছিল।
রাজ্য পরিবহন দপ্তরের (Transport Department of WB) তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, বাণিজ্যিক যানবাহনের ক্ষেত্রে একবারে ১০ বছরের জন্য রোড ট্যাক্স (Vehicle Road Tax WB) দিলে ৪০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে। পাঁচ বছরের জন্য যদি কেউ রোড ট্যাক্স দেন তাহলে তিনি ৩০ শতাংশ ছাড় পাবেন এবং তিন বছরের জন্য দিলে ছাড় পাওয়া যাবে ১৫ শতাংশ।
বাণিজ্যিক যানবাহন ছাড়াও প্রাইভেট যানবাহনের ক্ষেত্রেও বড় ঘোষণা করা হয়েছিল। প্রাইভেট গাড়ির ক্ষেত্রে প্রথমে পাঁচ বছরের রোড ট্যাক্স নেওয়া হলেও পরবর্তীতে ১০ বছরের জন্য রোড ট্যাক্স নেওয়া হয়। এক্ষেত্রেও গাড়ির মালিকরা আকর্ষণীয় ছাড় পাবেন রাজ্য পরিবহন দপ্তরের তরফ থেকে বলে জানানো হয়েছিল। তবে এই সমস্ত ছাড় ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
রাজ্য পরিবহন দপ্তরের তরফ থেকে এমন সুযোগ দিয়ে যে পরিমাণ রাজস্ব আদায়ের আশা করা হয়েছিল তা হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফৎ। এখনো পর্যন্ত ১৫০ কোটি টাকা দপ্তরে উঠে এসেছে বলেই জানা গিয়েছে। যেমনটা আশা করা হয়েছিল সেই মত আশা পূরণ না হওয়ার কারণে নতুন করে এই সুযোগ দেওয়ার সময়সীমা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। নতুন করে ৩১ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত এই অফার দেওয়া হবে।
নতুন করে এক মাস সময়সীমা বৃদ্ধি করার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য পরিবহন দপ্তর অনুমান করছে ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকা উঠে আসবে। অন্যদিকে গাড়িতে ভিএলটিএস বসানোর ক্ষেত্রেও আরও একমাস ছাড় পাওয়া যাবে বলেও জানানো হয়েছে। অন্যদিকে আরও বেশি পরিমাণে রাজস্ব যাতে আদায় করা সম্ভব হয় তার জন্য রাজ্য পরিবহন দপ্তরের তরফ থেকে শনিবারও অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।