শিক্ষক নিয়োগ মামলায় নয়া মোড়, ৪৩ হাজার শিক্ষকের চাকরি নিয়ে টানাটানি

Shyamali Das

Updated on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রাথমিক শিক্ষক হোক অথবা মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষক, এমনকি কলেজে অধ্যাপক নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে একাধিক মামলা হয়েছে আদালতে। পশ্চিমবঙ্গে এই সকল মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী এবং দুই শতাধিক বেশি প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিজেদের চাকরি হারিয়েছেন। এবার এই মামলায় নয়া নিল মোড়।

সম্প্রতি প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যে দুর্নীতির জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছে তা গ্রহণ করেছে আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের গ্রহণযোগ্যতার এই মান্যতা দেওয়ার পর আদালতের নির্দেশে প্রাথমিকের এই শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে তদন্ত করছে সিবিআই। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করা হয়েছে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার মাধ্যমে চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে।

এবার এই মামলায় ৪৩ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি নিয়ে টানাটানি শুরু হলো। নিয়োগপত্র, টেট পাশের শংসাপত্র-সহ প্রায় ৪৩ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের নথি তলব করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এই বিষয়ে মঙ্গলবার রাজ্যের জেলা প্রাথমিক সংসদগুলিতে জরুরী বিজ্ঞপ্তি হিসাবে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। এই নির্দেশিকা গত ১১ জুলাই জারি করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচি।

সংসদগুলিকে যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে অনলাইনে ৪২ হাজার ৯৪৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের সমস্ত নথি পাঠাতে হবে। এই সকল প্রত্যেক শিক্ষকের নিয়োগপত্র, টেট শংসাপত্র, মাধ্যমিক পাসের শংসাপত্র, বয়সের প্রমানপত্র, শিক্ষক প্রশিক্ষণের প্রমান, জাতিগত শংসাপত্র-সহ ১২ দফা নথি খতিয়ে দেখবে সিবিআই।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর এই সকল প্রায় ৪৩ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জরুরী ভিত্তিতে নিয়োগ হওয়া প্রতিটি শিক্ষকের এক্সেল সিটে সমস্ত নথি পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন দেখার বিষয় এই প্রায় ৪৩ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোথাও কোনো দুর্নীতির গন্ধ খুঁজে পাওয়া যায় কিনা!