বঙ্গোপসাগরে ফুঁসছে ঘূর্ণিঝড়! সিঁদুরে মেঘ দেখছে বাংলা, কবে, কোথায় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : আয়লা, আমফান, ইয়াস সহ বাংলার বুকে আছড়ে পড়া একাধিক ঘূর্ণিঝড়ের স্মৃতি নিয়ে ফের একবার বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) ফুঁসছে নতুন ঘূর্ণিঝড় (Cyclone)। এই সকল ঘূর্ণিঝড় মে মাসে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছিল এবং সেগুলি বাংলার বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক তাণ্ডব লীলা চালিয়েছিল। এমন পরিস্থিতি মে মাসে নতুন করে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে বাংলা।

হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস থেকে নতুন এই ঘূর্ণিঝড় প্রসঙ্গে যা জানা যাচ্ছে, তাতে আগামী ৬ মে বঙ্গোপসাগরে একটি সিস্টেম তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া সেই ঘূর্ণাবর্ত ৮ মে নিম্নচাপে পরিণত হবে। বঙ্গোপসাগরে যে সিস্টেম তৈরি হওয়ার পূর্বাভাস মিলেছে তার উপর হওয়া অফিস অনবরত নজরদারি চালাচ্ছে।

বঙ্গোপসাগরে যে সিস্টেম তৈরি হতে চলেছে এবং সেই সিস্টেম থেকে যদি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় তাহলে তার নাম হবে মোখা (Mocha)। অন্যদিকে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ৪ মে পর্যন্ত রাজ্যের কম বেশি সব জেলাতেই ঝড়-বৃষ্টি দেখা যাবে। ৪ তারিখের পর ঝড় বৃষ্টি কমবে এবং নতুন করে তাপমাত্রার পারদ বৃদ্ধি পাবে। যদিও তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি পার করবে না বলেই অনুমান করা হচ্ছে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় উপ-মহানির্দেশক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “৩ এবং ৪ তারিখ উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ৫ তারিখ থেকে দিনের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়বে। তবে কলকাতার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই। ৬ মে দক্ষিণ পূর্ব বা দক্ষিণ মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই ঘূর্ণাবর্ত থেকে ৮ তারিখ নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে নিম্নচাপের কী প্রভাব হতে পারে আমরা সেটা জানিয়ে দেব।”

বর্তমানে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে চলা সিস্টেমের উপর নজর রাখা হচ্ছে। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে এখনই এই বিষয়ে বলা সম্ভব হচ্ছে না যে ওই সিস্টেম নিশ্চিত ভাবে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কিনা। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কিনা তা জানতে আরও দিন কয়েক সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন হাওয়াবিদরা। এর পাশাপাশি এর ফলে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে কিনা তা সম্পর্কেও নজরদারি চালানো হচ্ছে এবং জানিয়ে দেওয়া হবে। যদি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় তাহলে তা কোথায় আছড়ে পড়তে পারে তাও হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হবে খুব তাড়াতাড়ি।