নিজস্ব প্রতিবেদন : গত কয়েকদিন ধরে গরমের দাপট চলার পর বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে আবহাওয়ার (Weather Update) আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। রাজ্যজুড়ে দেখা গিয়েছে কালবৈশাখী (Kalbaisakhi), শিলাবৃষ্টি (Hail Strom), বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি। আর এসবের কারণে তাপমাত্রার পারদের ক্ষেত্রেও বিরাট ফারাক এসেছে। প্রতিটি জেলাতেই তাপমাত্রার পারদের ক্ষেত্রে তিন থেকে চার ডিগ্রির পার্থক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকেই তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায় বঙ্গ জুড়ে। তবে মার্চের শুরু থেকেই ঝড়-বৃষ্টি এবং কালবৈশাখীর সম্ভাবনা কথা জানাচ্ছিল হাওয়া অফিস (Weather Office)। সেই পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাজ্যের অধিকাংশ জেলাতেই ঝড়-বৃষ্টি দেখা যায়। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী এমন পরিস্থিতি এখন বজায় থাকবে।
হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্জা এবং পূবালী হাওয়ার সংঘাতের কারণেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। উত্তর প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র পর্যন্ত অবস্থান করছে একটি অক্ষরেখা। এসবের ফলেই বজ্রগর্ভ মেঘ অবস্থান করছে বিহার, ঝাড়খন্ড, ছত্তিশগড়ের দিকে। এই সকল পরিস্থিতির কারণেই এমন বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ জেলার পাশাপাশি ঝাড়খন্ডেও।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী এমন পরিস্থিতি আগামী ২০ মার্চ পর্যন্ত চলতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। শুক্রবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের দু-একটি জেলায়। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ঝড়ো হাওয়ার গতিবেগ ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
একইভাবে শুক্রবার ঘন্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতি বেগে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান সহ একাধিক জেলায়। একই রকম পরিস্থিতি বজায় থাকতে পারে ২০ মার্চ পর্যন্ত। দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলার ক্ষেত্রেই এমন প্রভাব লক্ষ্য করা যাবে বলে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।