West Bengal Temperature: এগিয়ে বাংলা! ১০ ডিগ্রি পিছনে ভারতের উষ্ণতম স্থান, বলে বলে ১০ গোল খেল রাজস্থান

নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণবঙ্গে গত কয়েক দিন ধরে যেভাবে তাপমাত্রার পারদ বৃদ্ধি পেয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে দেশের সবচেয়ে উষ্ণতম স্থানও এখন বাংলা (West Bengal Temperature) থেকে পিছিয়ে পড়েছে। তাপমাত্রায় বাংলা এখন দেশের উষ্ণতম স্থানের পাশাপাশি রাজস্থানকে বলে বলে ১০ গোল দিচ্ছে।

গত কয়েক দিন ধরেই রাজস্থানের একের পর এক এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় অনেকটা পিছিয়ে পড়ছিল বাংলার কাছে। কিন্তু শনিবার প্রায় ১০ ডিগ্রি পিছিয়ে পড়ল। স্বাভাবিকভাবেই এমন পরিস্থিতিতে রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলার বাসিন্দাদের। শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, পাহাড় ছাড়া উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিরও অবস্থা খুব একটা ভালো নয়।

IMD-র সরকারি ওয়েবসাইট থেকে যে তথ্য পাওয়া যায় সেই তথ্য অনুযায়ী শনিবার দক্ষিণবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪.৬° সেলসিয়াস। আসানসোলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩.৪° সেলসিয়াস। বাকি অন্যান্য অধিকাংশ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রী বা তার আশেপাশে। শনিবার দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা তীব্র তাপপ্রবাহের মুখোমুখি হয়। আর এই পরিস্থিতিতেই এখন রাজস্থানের বিভিন্ন জায়গা সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় বাংলার থেকে অনেক পিছিয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন 👉 2024 Lok Sabha Election: কেন কাঠফাটা রোদেই ভোট হয়! শুধুই সুবিধা নাকি পিছনে রয়েছে অন্য কোনো কারণ

ভারতের সবচেয়ে উষ্ণতম স্থান হিসেবে যে জায়গাটি পরিচিত সেটি হল রাজস্থানের উত্তর অংশে অবস্থিত শ্রীগঙ্গানগর। এছাড়াও জয়সলমেরও দেশের উষ্ণতম জায়গাগুলির মধ্যে অন্যতম। তবে জানলে অবাক হবেন, শনিবার শ্রীগঙ্গানগর এবং জয়সলমেরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৩৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ৩৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকভাবেই এখন বাংলার বিভিন্ন এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজস্থানের ঐ সকল জায়গার তাপমাত্রার থেকে প্রায় ১০ ডিগ্রি বেশি।

তবে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণবঙ্গকেও টেক্কা দিচ্ছে ওড়িশার বারিপদ এবং বৌধ। ওই দুই এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এখন ৪৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এখন দেশের সবচেয়ে বেশি। স্বাভাবিকভাবেই পশ্চিমবঙ্গের মতোই এখন কঠিন অবস্থা চলছে ওড়িশার বিভিন্ন জায়গায়। এই পরিস্থিতি কবে কাটবে তার দিকেই তাকিয়ে সাধারণ মানুষেরা।