WB Government Scheme: ‘হাতে হ্যারিকেন!’স্বাস্থ্যসাথী থেকে রূপশ্রী চালাতে গিয়ে যা করছে রাজ্য! সামনে এলো বিস্ফোরক অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মহিলা থেকে শুরু করে বাসিন্দাদের জন্য নানান ধরনের প্রকল্প (WB Government Scheme) চালু করেছেন। এই সকল প্রকল্পের মাধ্যমে সুবিধা দিতে প্রতিমাসে কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে রাজ্য সরকারের। তবে এত টাকা আসছে কোথায় থেকে? এ নিয়েই এবার সিএজি রিপোর্টে বিস্ফোরক তথ্য সামনে এলো।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের রাজকোষ এমনিতেই ‘ভাঁড়ে মা ভবানী’। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Bandopadhyay) এই বিষয়টি একাধিকবার শিকার করতে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময়। আর সেই বিষয়টি এবার সিএজি রিপোর্টে আরও স্পষ্ট। যেখানে বলা হয়েছে, পুরাতন ঋণ সুদে আসলে শোধ করতে বাজার থেকে ধার করা টাকার বেশিরভাগ অংশই চলে যাচ্ছে।

পশ্চিমবঙ্গ রাজকোষের এমন অবস্থা নতুন কিছু নয়। তবে এরই সঙ্গে সঙ্গে সিএজি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গত বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্য সরকারের রূপশ্রী, কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী সহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা মেটাতে বাজেটের বাইরেও ধার করছে মমতা সরকার। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে পরিমাণ অর্থ ধার করা হচ্ছে এই সকল প্রকল্প চালানোর জন্য তা জানলে রীতিমতো চমকে যাবেন।

আরও পড়ুন 👉 Lakshmir Bhandar: মমতার হাত ধরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে মিলতে পারে বড় সুখবর, অপেক্ষা শুধু কয়েকদিন

২০২০-২১ অর্থবর্ষে রাজ্য সরকার সরাসরি এই টাকা ধার না নিলেও বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বাজেটের হিসেবের বাইরে টাকা ধার করেছিল। যে টাকার পরিমাণ ছিল প্রায় ৪ হাজার ৩১২ কোটি টাকা। বাজেটের হিসেব-নিকেশে এই ধারের বিষয়ে উল্লেখ না থাকলেও এর দায় এসে পড়েছে রাজ্য সরকারের উপর। এছাড়াও এই রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে কোন খাতের জন্য কত টাকা ধার নেওয়া হয়েছিল।

রিপোর্টে দাবী করা হয়েছে, স্বাস্থ্য সাথী সমিতির মাধ্যমে ৭৩০ কোটি টাকা ধার নেওয়া হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ মহিলা উন্নয়ন উদ্যোগের মাধ্যমে ধার নেওয়া হয়েছিল ১১২২ কোটি টাকা। এই টাকা কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য ধার নেওয়া হয়েছিল। রূপশ্রী প্রকল্পের জন্য ধার নেওয়া হয়েছিল ৪৮৫ কোটি টাকা। এছাড়াও তপশিলি বন্ধু, জয় জোহার পেনশন প্রকল্প ইত্যাদির জন্য পশ্চিমবঙ্গ তফসিলি জাতি-জনজাতি-ওবিসি উন্নয়ন ও অর্থ নিগমের মাধ্যমে ৪৯১ কোটি টাকা ধার নেওয়া হয়েছিল। তবে এই সকল টাকার মধ্যে বড় অংশ শোধ করে দেওয়া হলেও ১০৮৫ কোটি টাকা এখনো বকেয়া রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।