নিজস্ব প্রতিবেদন : বাংলার দক্ষিণবঙ্গে এখন চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। যে তীব্র তাপপ্রবাহে রীতিমত নাজেহাল অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাসিন্দাদের। আর এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে বাসিন্দারা ফ্যান, এসি ইত্যাদির নিচে আশ্রয় নিচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই সকল যন্ত্রের ব্যবহার বেড়ে যাওয়াই পাল্লা দিয়ে বিদ্যুতের (Electricity) চাহিদাও একলাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।
হঠাৎ করে এমন ব্যাপকভাবে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার ফলে একের পর এক জায়গায় ঘটে চলেছে বিপত্তি। বিভিন্ন জায়গা থেকে বারবার বিদ্যুৎ বিভ্রাট অর্থাৎ লোডশেডিং, পাওয়ার কাট (Power Cut) ইত্যাদির অভিযোগ আসছে। এই তীব্র গরমে লোডশেডিং হলে পরিস্থিতি কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে তা যেখানে হচ্ছে সেই এলাকার বাসিন্দারা ছাড়া অন্য কেউ টের পারবেন না।
তীব্র গরমের মাঝে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মত ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ জন্মাতে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার নড়েচড়ে বসলেন খোদ রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তড়িঘড়ি এই ধরনের ঘটনার সমাধান বের করতে গত সোমবার তিনি রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগম এবং সিইএসসি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে এই ধরনের ঘটনার সমাধানের (Power Cut Solution) রাস্তা দেখান। মোটের উপর তিনি যাতে কোথাও কোনো রকম বিদ্যুৎ বিভ্রাট না হয় তার জন্য এমন নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন ? WB Government New Project: DA থেকে কাজের গ্যারান্টি! মে মাস থেকে ৩ বড় ব্যবস্থা রাজ্য সরকারের
অরূপ বিশ্বাস নির্দেশ দিয়েছেন, কোথাও কোনরকম সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত সেই সমস্যার সমাধান করে পরিষেবা পৌঁছে দিতে হবে। এর জন্য মন্ত্রী তরফ থেকে সিইএসসি এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগম দুই সংস্থাকেই আরও লোকবল এবং মোবাইল ভ্যান বৃদ্ধি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মোটের উপর কোথাও যেন কোন রকম অভিযোগ না থাকে সেই বিষয়টির উপর নজর রাখতে বলা হয়েছে।
এমনকি বিদ্যুৎ বিভ্রাট যাতে না হয় তার জন্য প্রয়োজন পড়লে জেনারেটর চালিয়ে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে সিইএসসির কাছে ১০০ টি জেনারেটর রয়েছে বলে জানা গিয়েছে এবং প্রয়োজন পড়লে সেই সকল জেনারেটরের ব্যবহার করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের হাতে রয়েছে ৪৫০ টি জেনারেটর, সেগুলিকেও একইভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।