নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনাকালে লকডাউন পরবর্তী সময়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খোলার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র মিললেও লোকাল ট্রেনের চাকা এখনো গড়ায়নি। আর এই লোকাল ট্রেনের চাকা না গড়ালেও দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্যের মানুষের লোকাল ট্রেন চালানোর পক্ষে সাওয়াল রয়েছে। আর পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতে বারংবার বিক্ষোভ লক্ষ্য করা গিয়েছে। যার পরেই কেন্দ্রীয় রেল বোর্ডের তরফ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে একটি চিঠি দেওয়া হয় লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য।
রেল বোর্ডের তরফ থেকে চিঠিতে উল্লেখ করা হয় লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতে বিক্ষোভ নজরে রেখে রাজ্যে লোকাল ট্রেন চালাতে রাজি আছে। তবে কোনো রকম হঠকারী সিদ্ধান্ত নয়, বরং রাজ্য সরকারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে রাজ্যের সম্মতি নিয়ে লোকাল ট্রেনের চাকা ঘোরাতে প্রস্তুত রেল দপ্তর। এই চিঠি দেওয়া হয়েছিল দুর্গোৎসবের ১৪ই অক্টোবর। তবে সেই চিঠির প্রত্যুত্তর হিসাবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সে সময় কিছু জানানো হয়নি। অবশেষে শনিবার সেই চিঠির উত্তর দেওয়া হল রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।
রাজ্যে লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে রেল বোর্ডের সাথে আলোচনায় বসার জন্য শনিবার রাতে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার সুনিত শর্মাকে রাজ্যের তরফ থেকে চিঠি দিলেন অতিরিক্ত মুখ্য সচিব এইচ কে দ্বিবেদী। সেই চিঠিতে রেল বোর্ড থেকে জানানো হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন রুটে কয়েকটি লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে দ্রুত বৈঠকে বসার ইচ্ছে প্রকাশ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। চিঠিতে এটাও জানানো হয়েছে যে সকাল এবং বিকেল ব্যস্ত সময়ে সাধারণ মানুষদের সুবিধার্থে হাতেগোনা কয়েকটি লোকাল ট্রেন চালানো যেতে পারে। তবে এই লোকাল ট্রেন চলার ক্ষেত্রে পুরোটাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে কার্যকর হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।
স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে সাধারণ যাত্রীদের ওঠা নিয়ে শনিবার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় হাওড়া স্টেশনে। আর তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই নবান্ন থেকে এই চিঠি দেওয়া হয় রেল বোর্ডকে। যে কারণে এই চিঠি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। এর পাশাপাশি লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে রেল বোর্ডকে দেওয়া এই চিঠির পরেই একপ্রকার ধরেই নেওয়া হচ্ছে যে খুব দ্রুত রাজ্যে বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেনের চাকা ঘোরাতে পারে সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য।