নিজস্ব প্রতিবেদন : ধারে কাছে ঘুরতে যাওয়া মানেই মানুষের কাছে প্রথম যে জায়গাটির নাম মনে আসে তাহলে দীঘা (Digha)। পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) এই সমুদ্র সৈকতে বছরের অধিকাংশ সময়ই পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। অধিকাংশ সময়ই কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পর্যটকরা সুযোগ পেলেই এখানে ছুটে আসেন। আসলে হাতের কাছে এবং কম খরচে ঘোরার সুযোগ থাকার কারণেই পর্যটকরা ছুটে আসেন দিঘায়। তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকেও পর্যটকদের ভিড় জমাতে দেখা যায় এই সমুদ্র সৈকতে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন এবং দীঘা ও শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফ থেকে রাজ্যের জনপ্রিয় এই পর্যটন কেন্দ্রটিকে আরও জনপ্রিয় করে তোলার জন্য প্রতিনিয়ত প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণের জায়গা করে তোলার চেষ্টা চালানো হচ্ছে নতুন দিঘা, পুরাতন দীঘা সহ পার্শ্ববর্তী সমুদ্র সৈকতগুলিকে। ঠিক সেই রকমই এবার আরও একটি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে যা শুনলেই আনন্দে লাফাবেন আপনিও।
এবার প্রশাসনের তরফ থেকে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায়। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র দার্জিলিং অথবা পড়শী রাজ্য সিকিমে সবসময় রাস্তাঘাট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে দেখা যায়। এমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা পর্যটকদের আরও আকর্ষণ করে এবং তাদের মধ্যে আলাদা এক অনুভূতি এনে দেয়। এই সকল কথা মাথায় রেখে এবার দিঘাকে আরও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা এবং রাখার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলো।
স্বচ্ছ বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার প্রশাসনিক অধিকারিকদের নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দপ্তর এমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগ নিয়েছে দিঘার মতো পর্যটনকেন্দ্রকে। এছাড়াও যে সকল বর্জ্য পদার্থ রয়েছে সে সকল বর্জ্য পদার্থগুলি থেকে সার তৈরি করার ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে। এতে সব দিক দিয়েই লাভবান হবেন সাধারণ মানুষ বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়াও এই পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাজের ক্ষেত্রে সুযোগ তৈরি হবে বলেও জানা যাচ্ছে। কেননা আবর্জনা সংগ্রহ করা থেকে শুরু করে সেটি বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সার তৈরি করার কাজ করা হবে স্থানীয় মানুষদের দিয়েই। এক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের একটি জায়গা তৈরি হবে বলেও জানা গিয়েছে। সুতরাং প্রশাসনের এমন পদক্ষেপ যেমন একদিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখবে ঠিক সেই রকমই আবার কর্মসংস্থান গড়ে তুলবে।