পুরি গিয়ে থাকার চিন্তার দিন শেষ! তৈরি হচ্ছে বঙ্গনিবাস, জানুন কতগুলি রুম মিলবে ভাড়ায়

নিজস্ব প্রতিবেদন : জগন্নাথ দেব এবং পুরির (Puri) সমুদ্রের টানে বছরের বিভিন্ন সময় পুরিতে পর্যটকদের ভিড় জমাতে দেখা যায়। আবার উড়িষ্যার এই পর্যটন কেন্দ্রে চোখ রাখলে দেখা যাবে, বেড়াতে আসা অধিকাংশ পর্যটকই বাঙালি। মূলত পশ্চিমবঙ্গ থেকেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ পুরীতে যান ভ্রমণ অথবা ধর্মীয় বিভিন্ন কারণে।

পুরিতে এমন বিপুলসংখ্যক বাঙালি পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে নবীন পট্টনায়ক (Naveen Patnaik) সরকারের সঙ্গে কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) সেখানে একটি বঙ্গনিবাস (Bango Nivas) তৈরি করার ঘোষণা করেছেন। ইতিমধ্যেই সেখানকার জমি দেখে এসেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। জমি দেখে পছন্দ হওয়ার পরই শুরু হয়েছে বঙ্গনিবাস তৈরীর পরিকল্পনা। এই বঙ্গনিবাস তৈরি হলে সস্তায় থাকার জায়গা পাওয়ার পাশাপাশি হোটেল নিয়ে বাঙালি পর্যটকদের দুশ্চিন্তা অনেকটাই দূর হয়ে যাবে।

পুরীতে বঙ্গ নিবাস তৈরি করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ৮৫ কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে এবং এর কাজ শুরু হতে চলেছে বলেই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। রাজ্য পূর্ত দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী দু’বছরের মধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাবে। এই বঙ্গ নিবাস তৈরি করা হচ্ছে দু’একরের বেশি জমিতে। দু’একর জমি উড়িষা সরকারের তরফ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়।

এখানে যে অতিথিশালা তৈরি করা হবে সেটি ২ লক্ষ ৩১ হাজার ৩৭২ বর্গফুট জায়গা জুড়ে করা হবে। যেখানে রেসিডেন্সিয়াল ইউনিট থাকছে ১০৩ টি। স্বাভাবিকভাবেই বিপুল সংখ্যক এই রেসিডেন্সিয়াল ইউনিট থাকার ফলে পুরীতে হোটেল পাওয়া নিয়ে দিনের পর দিন যে সমস্যা তৈরি হচ্ছে তার অবসান ঘটে যাবে এক নিমেষে। এখানে সাধারণদের থাকার পাশাপাশি ভিআইপিদের থাকার জন্য আলাদা ব্লক রাখা হবে।

ডিজাইন সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে তাতে দক্ষিণ দিকে থাকবে ভিআইপিদের থাকার ব্লক এবং উত্তর দিকে থাকবে সাধারণদের। ইউনিটগুলির ডিজাইন করা হবে ধানের গোলার মত। এছাড়াও এখানে থাকবে কিচেন, ব্যাঙ্কোয়েট, প্যান্ট্রি, কনফারেন্স রুম, রেস্তরাঁও এবং গাড়ি পার্কিং করার জায়গাও। এই সকল রুমগুলিতে থাকার জন্য খরচ সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে তাতে খরচ হবে বিলাসবহুল হোটেলগুলির তুলনায় অনেক কম।