নিজস্ব প্রতিবেদন : গত সোমবার থেকে তীব্র গরমে পুড়তে শুরু করেছে বাংলা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে, দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০° পার করেছে। কোন কোন জেলায় তো আবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রিতে পৌঁছে গিয়েছে। তবে শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং ও কালিম্পং বাদে বাকি সমস্ত জেলাতেও পরিস্থিতি খুব খারাপ।
তীব্র গরমে যখন বাংলার অধিকাংশ জায়গা পুড়তে শুরু করেছে, যখন সকাল ১১ টার পর বাড়ি থেকে বের হওয়া মুশকিল হয়ে দাঁড়াচ্ছে, সেই সময় স্কুল পড়ুয়াদের কি পরিস্থিতি হতে পারে তা আশা করি টের পাচ্ছেন রাজ্যের অধিকাংশ মানুষেরাই। তবে পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর গরমের ছুটি (Summer Vacation) এগিয়ে আনতে পারে বলেই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফৎ।
এমনিতেও চলতি বছর আগেই পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে গরমের ছুটি বাড়ানোর কথা জানিয়েছিল। যেখানে গরমের ছুটি সাধারণত ১০ দিন থাকে সেই জায়গায় এই বছর ভোটের কারণে গরমের ছুটি ২২ দিন করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। অন্যদিকে বর্তমান গরমের কথা মাথায় রেখে এবার গরমের ছুটি এগিয়ে আনা হতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে। আর গরমের ছুটি এগিয়ে আনলে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে স্কুল পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন ? WB Madhyamik Result: খাতা দেখা কমপ্লিট, তবে মাধ্যমিকের রেজাল্ট প্রকাশের আগেই নয়া সিদ্ধান্ত পর্ষদের
সূত্র মারফৎ যা জানা যাচ্ছে তাতে যেখানে ৬ মে গরমের ছুটি শুরু হওয়ার কথা ছিল সেই জায়গায় ছুটি এগিয়ে আনা হতে পারে ২২ এপ্রিল। সূত্রের দাবি যদি বাস্তবায়িত হয় তাহলে এবার গরমের ছুটি আরও বেড়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সরকারি স্কুলগুলিতে ২২ এপ্রিল থেকে গরমের ছুটি ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনার পাশাপাশি বেসরকারি স্কুলগুলিকেও গরমের ছুটি এগিয়ে আনার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে।
এমনিতে এই বছর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে গরমের ছুটি নিয়ে আগে যা জানানো হয়েছিল তাতে ৬ মে থেকে গরমের ছুটি শুরু হওয়ার পর তা ২ জুন পর্যন্ত চলার কথা ছিল। এক্ষেত্রে যদি ২২ এপ্রিল থেকেই গরমের ছুটি ঘোষণা হয়ে যায় তাহলে তা কতদিন পর্যন্ত চলে সেটাই দেখার বিষয়। ছুটি এগিয়ে আনার পাশাপাশি ছুটির মেয়াদ কমানো হবে, নাকি একই রাখা হবে, তা যতক্ষণ না পর্ষদের তরফ থেকে ঘোষণা করা হচ্ছে স্পষ্ট নয়।