নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় নাগরিকদের কাছে গণপরিবহনের মেরুদন্ড হলো ভারতীয় রেল (Indian Railways)। প্রতিদিন দেশের ৫০ লক্ষের বেশি মানুষ রেলের ওপর নির্ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন। ট্রেনের উপর এত নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পাওয়ার মূল কারণ হলো সস্তায় যাতায়াত, সুরক্ষিতভাবে আরাম করে যাতায়াত।
অন্যদিকে বিপুল সংখ্যক এই যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে রেলের তরফ থেকেও প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পরিবর্তন আনা হচ্ছে। রেলের তরফ থেকেও রেল পরিষেবায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে মানুষকে আরো স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়ার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি যাতে অনেক কম সময়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাত্রীরা যেতে পারেন তার জন্য দ্রুতগতির করিডর (High Speed Rail Network) তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ট্রেনকে বুলেটের গতিতে ছুটতে সাহায্য করবে।
রেলে তরফ থেকে ভারতে এখনো পর্যন্ত সাতটি দ্রুতগতির রেল করিডর তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। শুধু পরিকল্পনা নয়, পরিকল্পনার পাশাপাশি একটি দ্রুতগতির রেল করিডর তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। দ্রুতগতির এই রেল করিডর তৈরির কাজ চলছে মুম্বাই থেকে আমেদাবাদ। এছাড়াও দেশের আরও ৬ রুটে এমন দ্রুতগতির রেল করিডর তৈরি করা হবে। সেই সকল রুটের মধ্যে একটি রয়েছে বাংলায়।
রেলের তরফ থেকে যে সাতটি দ্রুতগতির রেল করিডর তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেগুলি হল দিল্লি-বারাণসী, দিল্লি-আহমেদাবাদ, মুম্বই-নাগপুর, মুম্বই-হায়দরাবাদ, চেন্নাই-মাইসুরু, দিল্লি-অমৃতসর এবং হাওড়া থেকে বারাণসী। এই সকল রুটে রেলের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বুলেটের গতিতে ট্রেন ছুটবে। সে বন্দে ভারত হোক অথবা অন্য কোন ট্রেন, সবই দ্রুত গতিতে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছুটে যাবে।
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, গত ২১ জুলাই পর্যন্ত দেশে ২৫টি রুটে ৫০ টি বন্দে ভারত চালু হয়েছে। আগামী দিনে এই সকল রুট অর্থাৎ যেগুলিতে হাই স্পিড রেল করিডর তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেই সকল রুটে অনেক বেশি গতিতে ছুটবে বন্দে ভারত। এক্ষেত্রে বর্তমানে যে সকল অন্যান্য ট্রেন রয়েছে তাদের তুলনায় অনেক বেশি স্পিডে যাতায়াত করবে দেশের সেমি হাই স্পিড ট্রেনটি।