নিজস্ব প্রতিবেদন : এই বছর বর্ষা (Monsoon) অনেক দেরিতে ঢুকেছে কেরল সহ ভারতবর্ষের সব জায়গাতেই। তবে বর্ষা দেরিতে ঢুকলেও দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যেভাবে বৃষ্টির দাপট দেখা গিয়েছে তার রীতিমত দুর্যোগ দেখে এনেছে সেই সকল রাজ্যের কপালে। অন্য রাজ্য ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গও অতিবৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থায় রয়েছে। তবে অন্যান্য জায়গায় বৃষ্টি হলেও দক্ষিণবঙ্গের কপাল খারাপ।
বর্ষার আগমনের পর এক দফায় টানা তিন দিন দফায় দফায় বৃষ্টি হলেও তারপর এখনো দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় শুকনো। কিছু কিছু জেলায় গত কয়েকদিন ধরে মাঝে মাঝেই বৃষ্টির দেখা মিলছে। এসবের মধ্যেই হাওয়া অফিসের তরফ থেকে দেওয়া বার্তায় মিলল খুশির খবরের পাশাপাশি আশঙ্কার বার্তাও। হাওয়া অফিসের বার্তা অনুযায়ী আচমকায় বদলে যাবে আবহাওয়া।
হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, জুন মাসের ১ তারিখ থেকে এখনো পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে ৪২ শতাংশ। তবে উত্তরবঙ্গের অবস্থা বানভাসি। তবে এরই মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে হওয়া অফিসের তরফ থেকে। বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে মূলত উত্তর পশ্চিম বঙ্গোসাগরে ঘনীভূত হওয়া ঘূর্ণাবর্তের কারণে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে ১৬ জুলাই অর্থাৎ রবিবার এই ঘূর্ণাবর্ত আরও শক্তিশালী হবে।
হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হওয়া এই ঘূর্ণাবর্তের ফলে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং উপকূলবর্তী এলাকার জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ অনেক বেশি থাকবে। দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতেও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। যে সকল জায়গায় জমিয়ে বৃষ্টি হবে সে সকল জায়গায় অস্বস্তিকর পরিস্থিতি কেটে যাবে। তবে যেখানে বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকবে সেখানে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে।
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের এমন পরিস্থিতির মধ্যেও আগামী দিনেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে অধিকাংশ জেলাতেই। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদাতেও রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।