Bengal Weather: কিছুদিন আগে বাংলা এবং ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকাতে ডানার প্রভাবে দেখা দিয়েছিল আতঙ্ক। ল্যান্ডফলের তিন ঘন্টার মধ্যেই ডানা তার শক্তি হারিয়ে পরিণত হয়েছে নিম্নচাপে। ঘূর্ণিঝড়ের ‘ফেলে যাওয়া’ বিক্ষিপ্ত মেঘপুঞ্জ এখনও ঘুরছে ওডিশা ও দক্ষিণবঙ্গের আকাশে। আবহবিদদের কথায়, নতুন করে কোন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বর্তমানে।
কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ডানার ফেলে যাওয়া মেঘপুঞ্জ এই সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গের ১৫টি জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা জিইয়ে রাখছে। রাত পোহালেই কালীপুজো এবং দীপাবলি, আর এই উৎসবের মরশুমে বাংলার বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে (Bengal Weather)। তবে স্বস্তির বিষয় হলো ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
আরো পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গে কি জাঁকিয়ে পড়তে চলেছে শীত, নাকি থাকবে ফিকে হয়ে?
ডানার প্রভাবে আদৌ কি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চল? ঘূর্ণিঝড়ের সেরকম প্রভাব এই রাজ্যে একদমই লক্ষ্য করা যায়নি। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে এই রাজ্যে। বিশেষ করে গত সপ্তাহের শেষে। বাংলায় তেমন প্রভাব বিস্তার না করতে পারলেও, ওড়িশার উপকূলবর্তী অঞ্চল বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে। বাংলার মানুষ এখন এটাই জানতে চাইছে সামনে কি আসতে চলেছে কোন নিম্নচাপ? কালীপুজোতে কি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে?
আরো পড়ুন: শিয়ালদা ডিভিশনে কালীপুজো ও দীপাবলির জন্য অতিরিক্ত ট্রেনের ঘোষণা, রইল টাইমটেবিল
আলিপুর হাওয়া অফিস এই বিষয়ে জানিয়েছে যে, আপাতত দক্ষিণবঙ্গে (Bengal Weather) ভারী বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই তবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে মোট ১৫টি জেলাতে। বৃহস্পতিবার কালীপুজোর দিনেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা আছে। রবিবার দুপুরে মৌসম ভবন যে উপগ্রহচিত্র প্রকাশ করেছে তাতে অবশ্য বঙ্গোপসাগরের উপরে মেঘের লেশমাত্র দেখা যাচ্ছে না। ইনস্যাটের থ্রি-ডি ইমেজারিতে পশ্চিমবঙ্গ ও বঙ্গোপসাগরকে মেঘশূন্য একেবারে সদ্য কেনা স্লেটের মতোই ঝকঝকে কালো দেখাচ্ছে।
দেশের উত্তর-পশ্চিম দিকে মেঘ জমতে শুরু করেছে এমনটাই দেখা গেছে উপগ্রহের ছবিতে। এই মেঘই কয়েক দিনের মধ্যে মরশুমের প্রথম ‘পশ্চিমী ঝঞ্ঝা’-রূপে দেখা দিতে পারে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী সপ্তাহ থেকেই উত্তর-পশ্চিম ভারতে মধ্য এশিয়া থেকে আসা শুকনো এবং ঠান্ডা বাতাসের স্রোত ঢুকে যাবে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই হয়তো উত্তর এবং পরে উত্তর-পূর্ব ভারতের আবহাওয়ায় পরিবর্তন হতে পারে। শীতের আমেজ পড়ার সাথে সাথেই শুকনো ও হিমেল বাতাস চামড়ায় টান ধরানো শুরু করবে এমনকি গা শিরশির করা অনুভূতিও জাগাবে।