‘সম্পর্ক না ঘোড়ার ডিম!’ কেষ্টকন্যা সুকন্যা গ্রেপ্তার হতেই হাত সরাচ্ছেন পরিজনরা!

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেপ্তার হয়ে তিহারে (Tihar) রয়েছেন। গত বুধবার একই মামলায় গ্রেফতার করা হয় তার মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে (Sukanya Mondal)। দুজনের গ্রেপ্তার হওয়ার পর থমথমে বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকা। খাঁ খাঁ করছে অনুব্রত মণ্ডলের বোলপুরের সেই বাড়ি, যেখানে আগে রোজ দূর দূরান্ত থেকে মানুষদের এসে ভিড় জমাতে দেখা যেত, যেখানেই ভিড় জমাতে দেখা যেত তৃণমূল নেতাকর্মীদের। এখন সেই ভিড় তো দূরের কথা, রীতিমতো হাত সরাচ্ছেন পরিজনরা! মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিলছে প্রতিবেশীদের! অনুব্রতর বাড়ির সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে অবলা প্রাণ!

Advertisements

গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেপ্তার হওয়ার পর একাধিকবার তার ঘনিষ্ঠদের এবং তার মেয়েকে তলব করা হয় ইডি আধিকারিকদের তরফ থেকে। বারবার তলব এড়ানোর পর বুধবার সুকন্যাকে গ্রেফতার করে ইডি। সুকন্যা মণ্ডল একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হলেও কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে তার। এই সকল সম্পত্তি কোথায় থেকে এলো তারই সন্ধান করছেন ইডি আধিকারিকরা। ইডি আধিকারিকরা খতিয়ে দেখছেন, এই টাকার সঙ্গে গরু পাচারের কোথাও যোগসাজস রয়েছে কিনা।

Advertisements

অন্যদিকে সুকন্যা মণ্ডল গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার জেঠু অর্থাৎ অনুব্রত মণ্ডলের দাদা সুব্রত মন্ডল এই বিষয়ে কোনো রকম কথাই বলতে চাননি। সুকন্যা অথবা অনুব্রতকে নিয়ে কথা বলা তো দূরের কথা তিনি ঘোড়ার ডিম সম্পর্ক হলেও দাবি করেছেন। কোনভাবেই গ্রেপ্তার হওয়া মন্ডল পরিবারের দুই সদস্যকে নিয়ে কথা বলতে চাননি তিনি। এরপরেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি পরিজনরাও হাত তুলে নিচ্ছেন!

Advertisements

সুব্রত মন্ডলকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, “না না আমাদের পরিবারের….। কিছুই বলবো না। সম্পর্ক না ঘোড়ার ডিম। আমাদের সঙ্গে কোন সম্পর্কই নেই বললাম তো। কোন সম্পর্ক নেই, কখনোই ছিল না। আগেও ছিল না এখনও নেই।”

অন্যদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এলাকার বাসিন্দা সুকেশ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “এক শ্রেণীর মানুষ খেতে পারছেন না আর এনাদের দেখুন একজন শিক্ষিকা হয়ে কত সম্পত্তি। যেদিকেই তাকাবেন সেই দিকেই বাড়ি, গাড়ি, জমিজমা। এত সম্পত্তিতে নিশ্চয়ই কালো টাকা তো আছেই। আর এখন বাবার পাপের ভাগ সইতে হচ্ছে মেয়েকে। কারণ মেয়ের তো আর এত সম্পত্তি হতে পারে না, নিশ্চয় বাবাই দিয়েছেন।”

Advertisements