What are the numbers written in white stone on the railway: বিশ্বের অন্যান্য দেশের রেল ব্যবস্থা থেকে ভারতীয় রেল ব্যবস্থা অনেক বেশি উন্নত এবং বৃহৎ। ভারতীয় রেল ব্যবস্থাকে পরিচালনা করা সত্যিই এক বিশাল কাজ। তবে এর জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন সিগন্যালের ও নাম্বার সিস্টেমের। একটি সঠিক সিস্টেমের মধ্য দিয়ে চলে ভারতীয় রেল ব্যবস্থা। আর রেল লাইনের পাশের সাদা পাথরে কালো রং দিয়ে লেখা সংখ্যাগুলি (Stone beside rail track) সেই সিস্টেমেরই পরিচয়।
আসলে রেলপথে আলাদা ভাবে কোনোরকম ল্যান্ডমার্ক এর ব্যবস্থা থাকে না। সাদা পাথরে কালো রঙ দিয়ে যে সংখ্যা (Stone beside rail track) লেখা থাকে সেগুলি হলো ল্যান্ডমার্ক। আপনারা কি জানেন এগুলো কাজ করে মাইলফলক হিসাবে। যদি কখনো ভুলবশত জানলা দিয়ে কিছু পড়ে যায় তখন সেই মুহূর্তে বাইরের মাইলফলকের নাম্বারটি নোট করে রাখতে হবে। স্টেশনে নেমে প্রথম কাজ হলো সিআরপিএফ এর কাছে বলতে হবে কোন স্টেশনে জিনিসটি পড়েছে এবং মাইলস্টোনটির নাম্বার।
এই ল্যান্ডমার্কগুলোর আরো বিভিন্ন রকম কাজ রয়েছে। যদি ট্রেন চালক ট্রেনটি চালানোর সময় কোনরকম সমস্যা দেখতে পায়, তাহলে ল্যান্ডমার্কের নাম্বার দেখে নিকটবর্তী স্টেশনে খবর দিতে পারে। এই সাদা পাথরে লেখা ল্যানমার্কগুলোর (Stone beside rail track) আরো একটি ব্যবহার আছে সেটি হল, যদি কোন রুটে মেরামতের কাজ চলে তাহলে ট্রেনের চালককে মাইলস্টোনের নাম্বার আগে থেকেই দেওয়া থাকে। যাতে সেই সব জায়গায় ট্রেন একটু ধীরে চালানো হয়।
বর্তমানে এই মাইলস্টোনগুলোকে সাজানো হচ্ছে একেবারেই নতুন রূপে। প্রথম যখন ভারতীয় রেলব্যবস্থায় এই মাইলস্টোনগুলো লাগানো হয় তখন ভারতে চলত বাষ্পচালিত কয়লার ইঞ্জিন। এরপর তা পরিবর্তন হয়ে আসলো ডিজেল লোকোমোটিভ ট্রেন। এই দুই ধরনের ট্রেনের ক্ষেত্রেই এই মাইলস্টোনগুলোর (Stone beside rail track) ভূমিকা অতুলনীয়। তবে বর্তমানে চলে এসেছে বৈদ্যুতিক লোকোমোটিভ ট্রেন। ভারতীয় রেলব্যবস্থার মত এত বড় রেলব্যবস্থায় বিদ্যুতায়ন করা সত্যি মুখের কথা নয়। এর আসল কারণ হলো জ্বালানির খরচ কমানো, কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমানো ইত্যাদি। চলতি বছরের মার্চ মাসে সরকার যে তথ্য পেশ করেছে সেটা অনুযায়ী, ভারতের ৯০ শতাংশেরও বেশি রেল নেটওয়ার্ক বিদ্যুতায়িত হয়েছে।
তাই এই ব্যবস্থায় এসেছে কিছু পরিবর্তন। একমাত্র বিদ্যুতায়নের জন্যই রেল লাইনের পাশে বসানো হয়েছে ইলেকট্রিক খুঁটি এবং তাতে নীল রঙের বোর্ড লাগানো হয়েছে। সেই বোর্ডে লেখা হয়েছে হলুদ কালি দিয়ে। সম্প্রতি ল্যান্ডমার্ক চিহ্নিত করতে মাইলফলকের পরিবর্তে এই খুঁটিগুলো কাজ করছে। উদাহরণস্বরূপ বলা চলে যে, কোনও খুটিতে লেখা আছে ৪৫/৯। এই কথার অর্থ হলো পাথরটি যে কোনও প্রধান লাইনের প্রথম স্টেশন থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখানে ৯ নম্বরের অর্থ হল এই খুঁটিটি ৪৫ এবং ৪৬ কিমির মধ্যে ৯ তম খুঁটি। সাধারণত এক কিমির ব্যাসার্ধের মধ্যে ১৫ থেকে ১৮টি খুঁটি পোঁতা হয়। তবে কিছু এলাকায় এই সংখ্যা ৩০ থেকে ৪০ পর্যন্ত হতে পারে।