নিজস্ব প্রতিবেদন : গত কয়েকদিন ধরেই দক্ষিণবঙ্গে মাঝে মাঝেই বৃষ্টির দেখা মিলেছে। মূলত দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু থেকে তেলেঙ্গানা পর্যন্ত একটি অক্ষরেখার অবস্থান এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার কারণেই এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গ (South Bengal)। হালকা এই বৃষ্টির কারণেই দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলিতে ফেব্রুয়ারির শেষে হালকা শীতের কাম ব্যাক লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আবহাওয়ার এমন খামখেয়ালিপনায় পশ্চিমের জেলাগুলিতে রাত এবং ভোরের দিকে এখনো হালকা শীতের আমেজ বজায় রয়েছে। তবে এমন পরিস্থিতি আর খুব বেশিদিন স্থায়ী হবে না বলেও জানা যাচ্ছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে। খুব তাড়াতাড়ি সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী হবে, আর এই বছরের জন্য পাকাপাকিভাবে বিদায় জানাতে হবে শীতকে (Winter farewell)।
হাওয়া অফিসের তরফ থেকে যে পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে তাতে দক্ষিণবঙ্গের কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই ২১ ডিগ্রিতে পৌঁছে গিয়েছে। মার্চ মাসের শুরু থেকেই ধীরে ধীরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী হবে। ধীরে ধীরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পাশাপাশি উর্ধ্বমুখী হবে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। খুব তাড়াতাড়ি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রী পার করবে। কলকাতায় শীতবস্ত্র ত্যাগ করে ইতিমধ্যেই ফ্যান চলতে শুরু করার পাশাপাশি এসি চালানোর জন্য প্রস্তুতি রাখতে হবে।
কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলিও একই পরিস্থিতি মুখোমুখি হতে চলেছে খুব তাড়াতাড়ি। পুরুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এখনও ১৫ ডিগ্রি থাকলেও তা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে। তবে পুরুলিয়ায় মার্চ মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রির বেশি হবে না বলেই আশা করা হচ্ছে। তবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রীর আশেপাশে থাকলেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়াবে ৩২°। এটাই স্পষ্ট, রাতের দিকে ঠান্ডা থাকলেও দিনের বেলায় ঘাম ঝরবে পুরুলিয়ায়।
পশ্চিমের জেলা হিসেবে বীরভূমের দিকে নজর রাখলে দিন চারেকের মধ্যেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে ২০ ডিগ্রিতে এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে ৩১ ডিগ্রিতে। বীরভূমের মতোই বাঁকুড়ার আবহাওয়াতেও আগামী দিন চারেকের তারিখের মধ্যেই এমন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে। বাকি যাবে না অন্যান্য জেলাগুলিও। ফেব্রুয়ারি মাসের বিদায়ের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের সব জেলা থেকেই বিদায় নেবে হালকা শীতের আমেজ।