ATM Machine: কোন দেশে প্রথম চালু হয়েছিল ATM! ATM ছাড়াও আর কী কী নাম রয়েছে এই টাকার মেশিনের

Where was the first ATM machine introduced: চটজলদি টাকা তোলার জন্য এখন আর কেউ ব্যাংকে গিয়ে লাইন দিতে চায় না। সরাসরি চলে যায় এটিএম কাউন্টারে কারণ সেখান থেকে খুব সহজেই ও কম সময়ে টাকা তোলা যায়। এখন অবশ্য শুধু টাকা তোলার জন্য নয়, টাকা জমা রাখার জন্যও এটিএম কাউন্টার কেই ব্যবহার করে থাকে বহু মানুষ। কিন্তু কিছু বছর আগেও এই এটিএম এর এত রমরমা ছিল না। কোথায় প্রথম চালু হল এই এটিএম মেশিন? এটিএম এর সূচনার গল্প রইল আজকের প্রতিবেদনে।

নেট ব্যাঙ্কিং এর যুগে ব্যাংকে লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা তুলে নিয়ে আসার বা জমা দেওয়ার দিন এখন অতীত। তবে যদি কখনো ক্যাশ টাকার প্রয়োজন হয় তখন কি করবেন? তখন তো একমাত্র ভরসা এটিএম (ATM Machine)। ছুটির দিনে, ব্যাংক বন্ধ থাকলে বা রাতে জরুরী ভিত্তিতে কোন টাকা-পয়সার প্রয়োজন হলে এটিএমই একমাত্র ভরসা সাধারণ মানুষের জন্য। বিপদে বন্ধুর মতো পাশে থাকছে এটিএম (ATM Machine)। এটিএম ব্যবহার করার পদ্ধতিটিও খুব সোজা। মেশিনে এটিএম কার্ড সোয়াইপ করে আপনার নির্দিষ্ট ৪ ডিজিটের পিন নম্বর ইনপুট করলেই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে টাকা তুলতে বা রাখতে পারবেন।

এটিএম (ATM Machine) এর জনক জন শেফার্ড। একদিন তার টাকার প্রয়োজন হওয়ায় তিনি ব্যাংকে যান টাকা তোলার জন্য। কিন্তু ব্যাংকে গিয়ে দেখেন যে ব্যাংক বন্ধ। তখনই তিনি ঠিক করেন এমন একটি মেশিন তৈরি করতে হবে যার সাহায্যে ব্যাংকে না গিয়েও সাধারণ মানুষ প্রয়োজনমতো টাকা তুলতে পারবে। সেই ভাবনারই ফল আজকের এই এটিএম মেশিন। আজ থেকে প্রায় ৫৬ বছর আগে ১৯৬৭ সালের জুন মাসে ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনের বার্কলেস ব্যাংকের এনফিল্ড শাখায় প্রথম বসানো হয় এটিএম মেশিন (ATM Machine)। লন্ডন থেকে পথ চলা শুরু করে এখন তার অস্তিত্ব সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন 👉 Virtual ATM: ATM অতীত! এসে গেল নতুন ব্যবস্থা, এবার পাশের মুদিখানাতেও মিলবে নগদ, লাগবে শুধু OTP

এই এটিএম বা অটোমেটেড টেলার মেশিনের (ATM Machine) আবার একাধিক নাম রয়েছে। একেক জায়গার মানুষ একে একেক নামে চিহ্নিত করে। কোথাও একে ক্যাশ পয়েন্ট বলে চিহ্নিত করা হয়। আবার কোথাও একে ক্যাস মেশিন বলে ডাকা হয়। অনেকে একে বলেন হোল ইন দ্যা ওয়াল। কানাডায় একে অটোমেটিক ব্যাংকিং মেশিন বা এবিএম বলে চিহ্নিত করা হয়।

এটিএম মেশিনে (ATM Machine) টাকা তোলা বা রাখার জন্য ৪ ডিজিটের একটি পার্সোনাল আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার বা পিন নম্বর ব্যবহার করতে হয়। এই পিন নম্বর ৪ ডিজিটের হওয়ার পেছনেও আছে এক মজার গল্প। জন শেফার্ড এই পিন নম্বর ৬ ডিজিটের রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার স্ত্রী ৬ ডিজিটের পিন নম্বর কিছুতেই মনে রাখতে পারছিলেন না। তাই পিন নম্বরের সংখ্যা কমিয়ে ৪ ডিজিট করে দেওয়া হয়। আর সেই থেকে আজ অবধি এটিম মেশিনের পিন নম্বর চার ডিজিটই রাখা হয়েছে।