Lawrence Bishnoi: একের পর এক হত্যার অভিযোগের আঙুল উঠছে তার দিকেই। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম ফের উঠে আসলো বাবা সিদ্দিকির হত্যাকান্ডে। এর আগেও বিভিন্ন খুনের মামলার সঙ্গে জড়িয়েছে তার নাম। তিনি বর্তমানে গুজরাতের সবরমতী জেলে বন্দী। বন্দি থাকা অবস্থাতেও তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন কুকর্ম। বিগত দুই বছরের মধ্যে তিন তিনটি বড় খুনের মামলায় জড়িয়ে গেল লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম। এমনকি কানাডার পুলিশও নিজেদের হেফাজতে চাইছে বিষ্ণোইকে।
লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম প্রথম লাইমলাইটে আসে ২০২২ সালে পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা হত্যাকাণ্ডে। এছাড়াও কানাডায় খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনেও নাম জড়িয়েছে লরেন্সের (Lawrence Bishnoi)। সম্প্রতি আরো একটি দুর্ধর্ষ খুনের মামলায় আবারও জড়িয়ে গেল লরেন্সের নাম। দশেরার দিন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকিকে হত্যার পিছনেও বিষ্ণোইয়ের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তবে আমজনতার মধ্যে লরেন্সকে নিয়ে কিন্তু কৌতুহল বরাবরই বেশি। মেনে নিতে খুবই কষ্ট হয় কিভাবে একজন ৩২ বছর বয়সী যুবক জেল থেকে দুটি দেশের ৩টি বড় অপরাধ ঘটাচ্ছে। জেল থেকে কিভাবে এই অপরাধগুলো ঘটাচ্ছে লরেন্স বিষ্ণোই (Lawrence Bishnoi)। তবে কি লরেন্সের কোন গডফাদার আছে? এত সাহায্য তিনি পাচ্ছেন কোথা থেকে? ২২ বছর বয়স থেকে জেলে রয়েছেন লরেন্স বিষ্ণোই। মূল্যবান দশটা বছর তার কেটে গেছে জেলের অন্ধকারে। কিন্তু তার দাপট এতটুকুও কমেনি। লরেন্স বিষ্ণোই কোথা থেকে পাচ্ছেন এত সাহস? জেলে লরেন্স বিষ্ণোইকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন এক ডিএসপি।
আরো পড়ুন: পুলিশের ছেলে গ্যাংস্টার! লরেন্সের জীবনের গল্প হার মানাবে চিত্রনাট্যকেও
একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায় যে, অন্যান্য গ্যাংস্টারদের যেরকম গডফাদার রয়েছে কিন্তু বিষ্ণোইয়ের (Lawrence Bishnoi) কোনও গডফাদার নেই। তিনি নিজেই সমস্ত কাজের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন এবং নিজের জীবনকে নিজের মতো করে বাঁচতে ভালোবাসে। এক এসএসপি পদমর্যাদার অফিসার বিষ্ণোইকে তিনবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। আজ পর্যন্ত বিষ্ণোইকে কখনওই এক জেলে বেশিদিন রাখা যায়নি। তার জেল পরিবর্তন করতে হয়েছে বারবার। জেলের ভিতরে সর্বদাই বিষ্ণোইকে নজরদারিতে রাখা হয়।
বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ের সদস্য সংখ্যা সম্পর্কে সঠিকভাবে কেউ কিছুই বলতে পারছে না। তবে যেকোন দেশে খুব সহজেই তিনি যেকোন রকম অপারেশন চালাতে পারেন। পাঞ্জাব পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা বলেছেন, বিষ্ণোইয়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সম্পত নেহরা হরিয়ানার দায়িত্ব সামলান। গোল্ডি ব্রার যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন, তিনি পাঞ্জাব এবং ভারতের বাইরে বিষ্ণোইয়ের হয়ে কাজ করেন। এছাড়াও দলে আছে দীপক কুমার ওরফে টিনু, রবিন্দর ওরফে কালি রাজপুত এবং সন্দীপ ওরফে কালা জাথেরি বিষ্ণোইয়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। এখন গোল্ডি ব্রার ছাড়া সবাই জেলে।