নিজস্ব প্রতিবেদন : ট্রেনে (Train) চড়ে ভারতে প্রায় এক কোটি মানুষ প্রতিদিন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু এই সকল বিপুলসংখ্যক মানুষদের মধ্যে অনেকেই জানেন না ভারতীয় রেলের (Indian Railways) বিভিন্ন তথ্য। যে কারণে অধিকাংশ মানুষদের কাছেই রেলের বিভিন্ন তথ্য আজও অজানা হয়ে রয়ে গিয়েছে।
তিনি সফর করার সময় লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, অধিকাংশ ট্রেনের ভিতরের রং (Train Body Colour) নীল রঙের হয়ে থাকে। শুধু ভিতরের রং নীল নয়, এর পাশাপাশি অধিকাংশ ট্রেনের বাইরের রং নীল থাকে। কিছু কিছু ট্রেন রয়েছে যেগুলি রং লাল, আবার কিছু কিছু ট্রেন রয়েছে যেগুলির রং বাদামি ও সবুজ রঙের। কিন্তু ৯৯ শতাংশ মানুষই জানেন না অধিকাংশ ট্রেনের রং কেন নীল হয়ে থাকে!
আসলে রঙেই ট্রেনের পরিচয় দেয়। আমরা যে নীল রঙের ট্রেনগুলি দেখে থাকি সেগুলি তৈরি তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে। এই সকল ট্রেনগুলিকে বলা হয় ইন্টিগ্রেল কোচ। এই ট্রেনের কোচগুলি লোহা দিয়ে তৈরী এবং এগুলির ওজন অনেক বেশি। বহু বছর ধরে এই ধরনের কোচ ব্যবহার করা হয়ে থাকে আর যে কারণেই নীল রঙের ট্রেন সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। নীল রঙের যে সকল ট্রেন রয়েছে সেগুলির গতিবেগ ঘন্টাই ৭০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার।
নীল রঙের ট্রেনের পাশাপাশি লাল রঙের বেশকিছু ট্রেন দেখা যায়। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, লাল রংয়ের কোচবিশিষ্ট ট্রেনগুলি মূলত ব্যবহার করা হয়ে থাকে দূর পাল্লার সফরের জন্য। আসলে এই লাল রঙের কোচগুলিকে বলা হয় এলএইচবি অর্থাৎ লিংক হফম্যান বুশ। ২০০০ সালে এই ধরনের কোচ জার্মানি থেকে আমদানি করা হয়েছিল। এই কোচগুলি লোহার বদলে অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি এবং ওজনে অনেক হালকা ও অনেক সুরক্ষিত। এই ধরনের কোচবিশিষ্ট ট্রেনগুলির গতিবেগ ঘন্টায় ১৬০ থেকে ২০০ কিলোমিটার।
নীল এবং লাল ছাড়াও বাদামী রঙের বেশ কিছু ট্রেন দেখা যায়। এই ট্রেনগুলিকে বলা হয় মিটার গেজ ট্রেন। আবার বেশ কিছু ট্রেন দেখা যায় যেগুলি রং সবুজ। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের রং নীল সাদা অথবা গেরুয়া সাদা। একসময় ট্রেনের রং ট্রেনের পরিচয় দিয়ে থাকলেও এখন অবশ্য এই সকল বিষয়গুলি সেইভাবে মানা হয় না বলেই জানা যাচ্ছে। এখন অনেক ক্ষেত্রেই যাত্রীদের পছন্দের উপর নির্ভর করে ট্রেনের রং দেওয়া হয়ে থাকে।