Sujay Krishna Bharda : ইডি – সিবিআই এর দৌলতে কালীঘাটের কাকু আজ বেশ প্রসিদ্ধ। মঙ্গলবার ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল। তারপরেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে কালীঘাটের কাকু সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে। কিন্তু কেন তিনি কালীঘাটের কাকু? কেন তিনি বেহালার কাকু নন? এই প্রশ্নটাই এখন অনেকের মনে ঘুরছে।
সংবাদ মাধ্যমের সামনে গোপাল দলপতি দাবি করেছিলেন, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ নাকি টাকা পাঠাতেন কালীঘাটের কাকুর কাছে। তবে এর বেশি কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। উত্তর পাওয়া যায় পরে। অভিযুক্ত তাপস মন্ডলের কাছে থেকে আসে সূত্র। নামটা কি যেন, সুজয় ভদ্র না কি! এভাবেই কালীঘাটের কাকুর পরিচয় ফাঁস করেছিলেন তাপস মন্ডল। এরপর খোঁজ শুরু করে ইডি সিবিআই। গোয়েন্দারা বেহালায় খোঁজ পান কালীঘাটের কাকুর।
বেহালার রাধারানী নামের একটি বাড়িতে হদিস পাওয়া যায় কাকু সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের। কুন্তল ঘোষের মতো অনেকেই নাকি তাকে কাকু সম্বোধনে ডাকতেন। তবে কি করে তিনি কালীঘাটের কাকু হলেন, সে বিষয়ে উত্তর দিতে পারেন নি সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র নিজেও। একটি সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি দাবি করেছিলেন, কালীঘাটের সঙ্গে তার কি যোগসূত্র, তা তিনি নাকি বুঝে উঠতে পারছেন না নিজেই।
তবে কালীঘাটের সঙ্গে যোগসূত্র সম্পর্কে কিছু না বললেও, অভিষেকের কথা উঠে এসেছিল কালীঘাটের কাকুর গলায়। তিনি বলে জানিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তার মালিক। একটি জল কারখানার কাজকর্ম দেখেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যবসায় আর সময় দিতে পারেন না। তবে তাকে চাকরি যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছিলেন, সে কথা কালীঘাটের কাকুর কথাতেই স্পষ্ট হয়েছে।
ক্যামেরার সামনে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র দাবি করেছিলেন, তিনি অভিষেকের কাজকর্ম দেখলেও তার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ তার নেই। তিনি এমনও দাবি করেন, তার ফোন থেকে কেউ দেখাতে পারবেন না যে তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছেন। নিজেকে একনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মী বলেও দাবি করেন তিনি। তবে কেন তিনি বেহালার কাকু না হয়ে কালীঘাটের কাকু হলেন, সেই প্রশ্ন রয়েছে সবার মনে। তদন্তকারীরা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের আয়ের সঙ্গে সংহতিহীন বিপুল সম্পত্তির হদিস পায়। বেশ কয়েকবার জেরা করার পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমত অবস্থায় গোয়েন্দারাও খুঁজছেন, বেহালার বাসিন্দা ভদ্র কাকু কি করে কালীঘাটের কাকু হলেন। কেন বেহালার বদলে তার নামের সঙ্গে যোগ হল কালীঘাট।